হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, তুলসী গাছকে শুভ বলে মনে করা হয়। গৃহস্থ ঘরে তুলসী গাছ পুজো করলে সন্তুষ্ট হন মা লক্ষ্মীও। যদি সকাল ও সন্ধ্যায় নিয়ম করে তুলসী পুজো করা হয়, তবে দূর হয় একাধিক সংকট। মেলে প্রতিকারও। জ্যোতিষশাস্ত্রে তুলসী পাতা অর্পণ সংক্রান্ত এমন কিছু কথা বলা রয়েছে, যা মানলে খুব সহজেই মুক্তি মিলবে একাধিক সংকট থেকে। এই নিবন্ধের সূত্র ধরে সেই প্রসঙ্গেই অবগত করার চেষ্টা করা হবে একাংশকে।
প্রতিকার:
• যদি কারোর মনে দীর্ঘদিনের অসম্পূর্ণ কিছু সুপ্ত ইচ্ছা থাকে তাহলে তার সমাধান করতে পারে ১১’টি তুলসী পাতাই। এক্ষেত্রে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে কমলা সিঁদুর ও জুঁইয়ের তেল সহযোগে তুলসী পাতায় রামের নাম লিখে তার মালা তৈরি করে অর্পণ করতে হবে হনুমানজিকে। আর এই মালা অর্পণ করার সময় যদি শুদ্ধ মনে নিজের দীর্ঘদিনের অসম্পূর্ণ ইচ্ছা ভগবানকে জানানো হয় তাহলে, তা শীঘ্রই পূরণ হয়। উল্লেখ্য একাদশী ও রবিবার তুলসী গাছ থেকে পাতা কাটা উচিৎ নয়।
• যদি কোন গৃহস্থ ঘরে সাংসারিক গোলযোগ বৃদ্ধি পেতে থাকে, তবে প্রতিদিন স্নান সেরে পিতলের কিংবা যেকোনো পরিষ্কার বাটিতে ভিজিয়ে রাখা তুলসীপাতার জল ঘরের দরজায় ছিটিয়ে দিতে হবে। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয়, এই তুলসী পাতার জল সমস্ত নেতিবাচক শক্তিকে দূর করে গৃহস্থ ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখে।
• হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, যদি আর্থিক সংকট দেখা দেয় তবে একটি লাল রঙের কাপড়ে তুলসী পাতা বেঁধে নিজের টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিতে হবে। নিজের টাকা-পয়সার ব্যাগেও রাখা যেতে পারে এটি। বিশ্বাস করা হয় এই নিয়ম মানলে সংসারে আর্থিক সংকট কেটে যায়।
• জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যদি ভাগ্য সহায় না থাকে তবে ময়দার প্রদীপ তৈরি করে তাতে তেলের সাথে এক চিমটে হলুদ দিয়ে সন্ধ্যায় তুলসী গাছের সামনে জ্বালাতে হবে। উত্তর দিকে মুখ করে তুলসী গাছের শিকড়ের কাছে রাখতে হবে ময়দার প্রদীপটি। এই নিয়ম নিত্যদিন মানলে মা লক্ষ্মী সহায় হন, ভাগ্যও ফেরে।