এবার থেকে ট্রেনের ওয়েটিং টিকিট নিশ্চিত করার জন্য আর এমপি এবং বিধায়কদের লেটার হেডের প্রয়োজন হবে না। মুজাফফরপুর এ টিকিট নিশ্চিতকরণ চক্রের অভিযানে বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং সাংসদের লেটার হেড পাওয়া যাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে একটি বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পূর্ব মধ্যে রেলওয়ে এবার লেটারহেড ফ্যাক্স করার পরিবর্তে একটি মেইল সিস্টেম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন এমপি এবং বিধায়কদের উচ্চ কর্মকর্তা কোটার জন্য মেইলের মাধ্যমে লিখতে হবে। টিকিট সাধারণভাবে ফ্যাক্স করে আর পাওয়া যাবে না।
সংসদ বিধায়কদের লেটার প্যাড ব্যবহার করে রেলের সদর দপ্তর থেকে টিকিট নিশ্চিত করার খেলার মামলা তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বিশাখাপত্তনম আরপিএফ চারদিন ধরে মোজাফফরপুরে ক্যাম্প করছে। এর পাশাপাশি মোজাফফরপুর আরপিএফও তার স্তর থেকে তদন্ত করতে শুরু করেছে। এই ঘটনায় রেলওয়ে আইনে মামলা করা হয়েছে এবং তদন্তের গোপনীয়তার কারণে আরপিএফের স্থানীয় আধিকারিকরা এই বিষয়ে কোন কথা বলা থেকে বিরত থাকছেন। অন্যদিকে বুধবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসা করা হলে আরপিএফ কমান্ডেন্ট অনিরুদ্ধ চৌধুরী বলছেন, তিনি মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে এখন খুব একটা অবগত নন। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে আরপিএফ এর হাতে। তবে উল্লেখিত তথ্য প্রমাণ সত্য না মিথ্যা তা খতিয়ে দেখার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, সদর থানা এলাকায় শ্রমজীবীনগরে সত্য প্রকাশের বাড়ি এবং আস্তানা থেকে সাংসদ এবং বিধায়কদের লেটার প্যাড পাওয়া গিয়েছে। এখানে তিনজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছাড়াও উত্তর বিহারের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে এমন সাংসদ এর নাম এবং প্যাড রয়েছে। রেলওয়ে সদর দপ্তর থেকে রিজার্ভেশন টিকিট নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে এই লেটার প্যাড। সত্য প্রকাশকে গ্রেফতারের পর এই মামলায় আরো তদন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি তার আসল মোবাইল নিয়ে পলাতক এবং এই মুহূর্তে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।