পুজো শেষ, বাঙালির জমজমাট আনন্দের অনুভূতিও শেষ। পুজার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন দিলীপ ঘোষ। একদিকে কার্নিভাল অন্যদিকে খুনখারাপি। সাধারন মানুষ মুখ্যমন্ত্রী পরিচালিত পরিকল্পিত বিভ্রান্তি ছড়ানোর প্রচেষ্টাকে ধরে ফেলেছে বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষের মতে, একদিকে কার্নিভাল ফেস্টিভ্যাল চলছে, অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। পুজোর কিছুদিন আগে কলকাতা ঘুরে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও কার্যকারী সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারাও এসে কলকাতার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জেপি নাড্ডা রাজ্যে ৮০ জন নিহত বিজেপি কর্মীর জন্য মহালয়ার তর্পন করেছেন। এছাড়াও যারা খুন হয়েছেন, তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসতে হবে। এমনকি অমিত শাহ দলীয় কর্মীদের বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার জন্য লড়াই করতে হবে, এবং প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।
রাজ্য বিজেপির সদস্যতা অভিযান শেষ হওয়ার পর দেখা গিয়েছে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ সদস্য হয়েছে। বর্তমানে তা প্রায় ১ কোটি সদস্য রয়েছে। দিলীপ ঘোষ মনে করেন, বিজেপী কর্মী খুনের ঘটনার পরও এই সদস্য বেড়েছে। সুতরাং, মানুষ আর শাসকদলকে ভয় পাচ্ছে না।