সস্তায় খাবার ক্যান্টিন নিয়ে এবারে বড়ো ঘোষণা মমতার। জেলায় জেলায় পর্যটন কেন্দ্রগুলি নিয়ে এবারে বড়ো ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি জেলায় পর্যটন কেন্দ্রের কাছে নবান্নের ক্যান্টিনের কাছে এবারে ক্যান্টিন খুলতে চলেছে রাজ্য। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারাই এই ক্যান্টিন চালাবেন বলেও জানা গিয়েছে। জেলাগুলিকে এই মর্মে একটি নোটিশ দিয়েছে সরকার। এদিন নবান্নে নতুন ক্যান্টিনের উদ্বোধন করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি। নবান্নের কর্মীদের অভিযোগ ছিল ক্যান্টিন থাকলেও সেটা মানে ভালো ছিল না। তাই এবারে নতুন ক্যান্টিন চালু করার ঘোষণা করলেন মুখ্যসচিব।
এবার থেকে কাবাব হোক বা মাছ-ভাত কিংবা পছন্দের মিষ্টি, চা-কফি-বিস্কুট পেতে আর কোনো সমস্যা হবে না কর্মীদের। মঙ্গলবারই পুরনো ক্যান্টিনকে সংস্কার করে রেস্তরাঁর আদলে চালু হল ‘খাদ্য ছায়া’ ক্যান্টিন। আর এই ক্যান্টিনের নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ক্যান্টিনের সমস্ত পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামান্নোয়ন দফতরের আনন্দধারা প্রকল্পের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে। শুধু খাবারই নয়, এবার থেকে ক্যান্টিনেই মিলবে রাজ্যে উৎপাদিত তুলাইপাঞ্জি চাল, অর্গানিক গ্রিন টি, মধু, সরষের তেল, মালদহের গোপালভোগ আমসত্বও।
শুধুমাত্র নবান্নতেই নয়, আনন্দধারার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিয়ে জেলা ও পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও ‘খাদ্য ছায়া’র ৬২টি একই রকম কাউন্টার খোলা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন এই খাদ্য ছায়া ক্যান্টিনের। মঙ্গলবারই দুপুরে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী নবান্নর নয়া ক্যান্টিন খাদ্য ছায়ার উদ্বোধন করেন। এই ক্যান্টিনে মাছ ভাত, ডিম ভাত, মাংস ভাত সুলভে সব রকম থালির ব্যবস্থা আছে। দাম ৫৫ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। নিরামিষাশী জন্যেও রয়েছে থালির ব্যবস্থা। খরচ মাত্র ৪০ টাকা। ঝা চকচকে অন্দরে একসঙ্গে ৪৪ জনের বসার আয়োজন।