আজ মহার্ঘ ভাতার জন্য আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযান। আদালতের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মীদের প্রস্তাবিত পথে আজ মিছিল হবে না। বরং মিছিল হবে একটা অন্য রুটে। তাহলে কোন পথে আজ নবান্ন অভিযান করবেন কোঅর্ডিনেশন কমিটির সমস্ত সদস্যরা? নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। সেই মিছিলের অনুমতি দিয়েছে উচ্চ আদালত। গত ২ তারিখ এই মামলায রায় ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারপতি রাজশেখর মন্থা পুলিশকে প্রশ্ন করেন, ‘শাসক দল যখন মিছিল করে তখন কোন সমস্যা হয় না?’
সরকারি কর্মীদের মিছিলের অনুমতি দিলেও যাত্রাপথ বদল করতে হবে বলে জানিয়ে দেন বিচারপতি। যেই পথে মহার্ঘ ভাতার জন্য আন্দোলনকারীরা নবান্নে যাবে বলে স্থির করেছিলেন সেই পথে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই পরিস্থিতিতে আজ হাওড়ার ফেরিঘাট, বঙ্কিম সেতু, মহাত্মা গান্ধী রোড হয়ে হাওড়া ময়দানে শেষ হবে এই মিছিল। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযান নিয়ে মামলার শুনানিতে গত পরশু বিচারপতি পর্যবেক্ষণ করেন, এই বিক্ষোভ প্রতিবাদ মূলত সবার মৌলিক অধিকার হওয়া উচিত। এই আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল করতে চাইলে তাতে বাধা দিতে পারে না সরকার। এই আবহে প্রয়োজনে মিছিল নিয়ে বিধি-নিষেধ আরোপ করতে পারে, তবে কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাবে না।
বিচারপতি আরো জানান, নবান্ন অভিযানের অনুমতি চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি মামলা তার এজ্লাসে জমা পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারকে তিনি প্রশ্ন করেন, কেন মিছিল করার জন্য বারবার আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হবে? তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবির কথা তুলে ধরতে চাইছেন। এই আবহাওয়া যদি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হয় তাহলে সরকারের সমস্যা কোথায় রয়েছে? সরকার এই ধরনের কর্মসূচিতে কোনো রকম বাধা দিতে পারেনা।’ এদিকে রাজ্যের তরফে দাবী করা হয়েছে, যেহেতু এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, তাই এই নিয়ে আন্দোলন বা মিছিলের কোন যৌক্তিকতা নেই। এর জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘মামলা সুপ্রিমকোর্টে বিচারাধীন ঠিকই কিন্তু শীর্ষ আদালত তো এই নিয়ে আন্দোলন করতে নিষেধ করেনি।’ তবে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে মিছিলের রূট পরিবর্তন করতে বলেন বিচারপতি। পরে সেই মতো মহার্ঘ ভাতা আন্দোলনকারীরা মিছিলের রুট বদল করেছেন। আন্দোলনকারীদের দাবি আজ মিছিলে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার সরকারি কর্মী অংশগ্রহণ করবেন। আড়াইটা থেকে শুরু হবে এই মিছিল।