যখনই আপনি ট্রেনে টিকিট বুক করেন, বুকিং হয় বিভিন্ন নির্দিষ্ট কোটার মাধ্যমে। বিশেষ কোটা আছে এমন ব্যক্তিদেরও আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে। এমনিতেই, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ট্রেনে একটা আলাদা কোটা রয়েছে এবং তাদের আসন বণ্টনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্যও একটি বিশেষ কোটা রয়েছে এবং এ ধরনের আরো অনেক কোটা রয়েছে। এরকম একটি কোটা আছে, যার নাম এইচও কোটা। এই কোটার বিশেষ বিষয় হল, এতে যদি আপনার টিকিট কাতার যোগ্যতা থাকে, তাহলে ওয়েটিং লিস্টের টিকিটও নিশ্চিত হয়ে যায়।
এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠছে এই বিশেষ কোটা কী, কারা পায় এই কোটার সুবিধা এবং টিকিট বুকিংয়ের সময় এই কোটার সুবিধা পাওয়া যাবে কিনা। এর সাথে, এটাও জানার দরকার, এই কোটা কাদের সাথে যুক্ত এবং কীভাবে ওয়েটিং লিস্টের টিকিট নিশ্চিত হয়?
HO কোটা কি?
আসলে, HO কোটা হল হেড কোয়ার্টার বা হায়ার অফিসিয়াল কোটা। এই কোটার মাধ্যমে সাধারণত নিশ্চিত টিকিট পাওয়া যায় খুব সহজে। তবে টিকিট বুকিংয়ের সময় এই কোটা ব্যবহার করা হয় না। এতে প্রথমে একটি সাধারণ ওয়েটিং লিস্টের টিকিট নিতে হবে এবং সেই টিকিট হেড কোয়ার্টারে কনফার্ম করতে হবে। এই কোটা জরুরি অবস্থায় ভ্রমণকারী এবং ভিআইপিদের জন্য। বেশিরভাগ ভিআইপি লোকেরা এর সুবিধা পান, তবে কিছু পরিস্থিতিতে সাধারণ লোকেরাও এর সুবিধা নিতে পারে।
এই কোটা শুধুমাত্র রেলওয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি অতিথি, ভিআইপি, মন্ত্রণালয়ের অতিথিদের জন্য ব্যবহার করা হয়। এতে ওয়েটিং টিকিট আগে নিশ্চিত করা হয় এবং চার্ট তৈরির এক দিন আগে এর প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়। এর মাধ্যমে টিকিট নিশ্চিতকরণের জন্য আবেদন করা হলে, চার্ট তৈরির সময়ই টিকিট নিশ্চিতকরণ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানা যায়। HO কোটায় ট্রেনের ভিত্তিতেও আসন রয়েছে। তবে, সাধারণত তাদের সংখ্যা খুবই কম এবং আসন সংখ্যা ট্রেন অনুযায়ী পর্যালোচনা করা হয়।
সাধারণ মানুষ কিভাবে সুবিধা পায়?
চলুন জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে সাধারণ মানুষ এর সুবিধা পেতে পারেন এবং এইচও কোটা ব্যবহার করতে কী কী করতে হবে। কোনো সাধারণ মানুষ যদি এই কোটার সুবিধা নিতে চান, তাহলে তাকে যাত্রার তারিখ থেকে একদিন আগে এর জন্য আবেদন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে, আপনাকে প্রমাণ করতে হবে যে, আপনাকে জরুরী কোথাও যেতে হবে এবং কাজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এতে, আপনাকে জরুরী অবস্থা প্রমাণকারী সমস্ত নথিগুলি প্রধান সংরক্ষণ সুপারভাইজারকে দিতে হবে এবং এর জন্য একটি ফর্ম রয়েছে, সেটিও সাথে সম্পূর্ণ পূরণ করে জমা দিতে হবে। এরপর গেজেটেড কর্মকর্তার স্বাক্ষর লাগবে, এবং তারপরেই আসন নিশ্চিত করা হবে। এর পরে, এই সম্পূর্ণ তথ্য বিভাগীয়/জোনাল অফিসে পাঠানো হবে এবং তারপর অনুমোদনের ভিত্তিতে টিকিট নিশ্চিত করা হবে।