বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চুল পড়ার সমস্যা অন্যতম। বেশিরভাগই অকালে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। এক্ষেত্রে বাড়ির মায়েরা ঘন কালো চুলের জন্য অনেকধরনের ঘরোয়া টোটকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর তার মধ্যে অন্যতম হল নিয়ম করে তেল মালিশ, যা পাতলা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায়। চুল পড়া কমিয়ে ঘন কালো চুল পেতেও সহায়তা করে এই তেল মালিশ। এই নিবন্ধের সূত্র ধরে তেমনি কয়েকটি তেলের উল্লেখ করা হবে যেগুলি চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম চাবিকাঠি।
১) পেঁয়াজ তেল- এই তেল চুল বৃদ্ধিতে ভীষণভাবে সহায়তা করে থাকে। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে এই তেল। বাড়িতেই ঘরোয়াভাবে এই তেল বানিয়ে নেওয়া সম্ভব। নারকেল তেল ও পেঁয়াজের রস সহযোগে তৈরি হয় এই তেল। চান করার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আগেই এই তেল মাখা কার্যকরী। চান করার সময় চুলের উপযুক্ত শ্যাম্পু দিয়েই ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে চুল।
২) নারকেল তেল- নারকেল তেল চুলের একাধিক গুরুতর সমস্যাকে নির্মূল করতে সক্ষম। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড বর্তমান, যা বিশেষ করে শুষ্ক চুলে আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে ভীষণভাবে কার্যকরী। এটি চুল বৃদ্ধি ও ঘন চুল পেতেও সাহায্য করে থাকে। প্রয়োজনে নারকেল তেলের সাথে যদি কারি পাতা মিশিয়ে নেওয়া যায় তাহলে, তা চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলেই মনে করা হয়।
৩) আমলা তেল- এই তেলে আয়ুর্বেদের একাধিক গুণ বর্তমান, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুল মেরামতির ক্ষেত্রে কার্যকরী। এই তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে মালিশ করলেই স্বাভাবিক থাকবে রক্ত সঞ্চালনও। চুলের সুরক্ষার ক্ষেত্রে ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিতে এটি ভীষণভাবে কার্যকরী।
৪) রোজমেরি তেল- ঘন কালো চুল বজায় রাখতে ও চুলের বৃদ্ধি ক্ষেত্রেও এই তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এটি যে চুলের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকরী একটি তেল, তা বিভিন্ন গবেষণার দ্বারাও প্রমাণিত। পুষ্টিগণ বৃদ্ধিতে নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সাথে এই তেল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। উল্লেখ্য, এই দুটি তেলের পাশাপাশি ক্যারিয়ার তেলের সাথেও এই তেল মিশিয়ে চুলের উপকারে প্রয়োগ করা যায়।
৫) অলিভ তেল- এই তেল ভিটামিন-ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মত পুষ্টিগুণ বর্তমান। এটি চুল বৃদ্ধির পাশাপাশি চুল মজবুত রাখতেও সহায়তা করে থাকে। উল্লেখ্য, সামান্য ভেজা চুলে এই তেল লাগালে ফল মেলে দ্রুত।