ওইযে বাংলায় একটা গান আছে – ‘দুধ না খেলে হবে না ভালো ছেলে’, তাই দুধ তো খেতেই হবে, পাশাপাশি দুধ দিয়ে আপনি করতে পারেন রূপচর্চা। প্রায় সব বাড়িতেই দুধ আসে। অনেকেই ওই দুধের চা কফি বানান, কেউ কেউ দুধ মুড়ি, দুধ চিড়ে খান, কেউ দুধের নানান ডেজার্ট বানান। সেই দুধের থেকে সামান্য যদি ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন তবে তা দিয়েই আপনি করে নিতে পারেন রূপচর্চা। চলুন পরবর্তী ধাপে পড়ে নিই কিভাবে দুধ আমাদের উজ্জ্বল, বলিরেখা হীন ত্বক পেতে সাহায্য করে।
দুধ দিয়ে করুন স্কিন ক্লিনজিং। এর জন্য দরকার ২ চামচ কাঁচা দুধ। গরুর দুধ বা প্যাকেট জাত যেই গরুর দুধ পাওয়া যায় তার কিছুটা অংশ কাঁচা অবস্থায় তুলে রেখে ফ্রিজ করে দিন। একটা কটন বল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। বাজারে নানান ধরনের ক্লিনজিং প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। সেসব না কিনে যদি কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ মুছে নেন তাহলে ত্বক হবে পরিষ্কার।
রাতে শোবার সময় অনেকে ঠান্ডা দুধ পান করেন। খুব ভালো হয় এই পানীয় ভালো ঘুমের জন্য। কিন্তু, আপনি যদি ডিনারের পর দুধের সর হাতের তালুতে মিশিয়ে নিয়ে মুখে মেখে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দেন, এবং ১০ মিনিট পর নরম্যাল জল দিয়ে মুখ ধুয়ে শুয়ে পড়েন তবে সকালে দেখবেন আপনার ত্বক হয়ে উঠেছে কোমল। দুধে যে ময়েশ্চারাইজার থাকে তবে তা আপনার স্কিনকে নরম রাখতে সাহায্য করে।
এবারে আসি দুধ দিয়ে তৈরি ফেস মাস্ক কিভাবে বানানো যায়। ফেস মাস্ক বানানোর জন্য প্রথমে কাঁচা দুধ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এরপর একটা পাত্রে ঠান্ডা কাঁচা দুধ নিন, তাতে মিশিয়ে দিন মুলতানি মাটি ও গোলাপ জল। ওই মিশ্রণ একটি ঘন করে নিয়ে তুলি বা আঙ্গুল দিয়ে মুখে মাখতে হবে। ১৫ মিনিট অপেক্ষা পর জল দিয়ে ধুয়ে নিলেই হয়ে গেল দুধের ফেসিয়াল। সপ্তাহে দুদিন এই ফেস মাস্ক ব্যবহার করলেই মুখের ত্বক হয়ে উঠবে কোমল, উজ্জ্বল ও গ্ল্যামারাস।