বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চুল পড়ার সমস্যা অন্যতম। বেশিরভাগই অকালে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন। এক্ষেত্রে বাড়ির মায়েরা ঘন কালো চুলের জন্য অনেক ধরনের ঘরোয়া টোটকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে সেই টোটকা যে সকলের জন্য সমানভাবে কার্যকরী, তা বলা যায় না। তবে এই নিবন্ধের সূত্র ধরে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় সম্বন্ধেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বর্তমানের দূষণ, অস্বাস্থ্যকর ও অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার, দূষিত জলকেই অকালে চুল উঠে যাওয়ার কারণ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। এই সমস্যাকে অবহেলা করলে বিপদ নিজেরই। তবে অনেকসময়ে সমাধান হিসেবে কিছু খাবার খাওয়া তৎক্ষণা বন্ধ করে দিতে হয়, নয়তো মাথায় আর একটি চুলও অবশিষ্ট থাকবে না।
১) ডায়েট সোডা- বর্তমানের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ডায়েট সোডা খাওয়ার প্রবণতা এখন অনেকটাই বেশি। এই সোডার মধ্যে বর্তমান থাকে কৃত্রিম সুইটনার, যা ভীষণভাবে ক্ষতি করে, মাথার ত্বকের। যার ফলস্বরূপ চুল উঠে যেতে থাকে অসময়ে। আর সেই কারণবশতই কম বয়সে চুল উঠে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে ভোগেন অনেক তরুণরাই। এক্ষেত্রে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অবিলম্বে ডায়েট সোডা খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
২) মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য- মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য কিংবা চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের পাশাপাশি সাধারণের জন্যও বেশ ক্ষতিকারক। ঘন কালো মজবুত চুলের জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। তবে এক্ষেত্রে চিনির শোষণ চুল উঠে যাওয়ার সমস্যার অন্যতম কারণ। আর এই কারণবশতই মিষ্টি খাদ্যদ্রব্য কিংবা চিনি যতটা সম্ভব কম গ্রহণ করাই শ্রেয়।
৩) অ্যালকোহল- অ্যালকোহল মানব শরীরের জন্য ঠিক কতটা ক্ষতিকারক! তা আলাদাভাবে আর উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। সাধারণের চুল তৈরীতে কেরোটিন নামক প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তবে অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ সেই বিষয়টিকে প্রভাবিত করে, যার প্রভাবে চুলের মোলায়েমভাব ধীরে ধীরে উধাও হতে থাকে। পাশাপাশি দ্রুত উঠে যেতে থাকে চুলও। একথা অবশ্য অনেকেরই অজানা। তবে বলই বাহুল্য, এখনই যদি এই অ্যালকোহল খাওয়া বন্ধ না করা হয় তাহলে, যতদিন যাবে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে তত।