ভারতের মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী সর্বশেষ আবহাওয়ার সর্তকতা অনুসারে ২০ জুন দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকতে পারে। অন্যদিকে দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৫° সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্ষা আসতে চলেছে কর্ণাটক অন্ধ্রপ্রদেশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খণ্ড বিহার পশ্চিমবঙ্গ উপ হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের কিছু অংশে। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত চলছে। এবারে হয়তো দক্ষিণবঙ্গেও খুব শীঘ্রই প্রবেশ করতে চলেছে বর্ষা। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণ ভারতের কিছু কিছু অংশে বৃষ্টিপাত হতে চলেছে। ওড়িশা কিছু অংশে এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশে বর্ষার অগ্রগতির জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
আইএমডি-এর সতর্কতা অনুযায়ী ২০ জুন উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের কিছু জায়গায় বাড়ি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এইসব এলাকায় বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অসম মেঘালয় উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ উত্তর-পূর্ব রাজস্থান অরুণাচল প্রদেশ নাগাল্যান্ড মনিপুর মিজোরাম ত্রিপুরা উপকূলীয় অন্ধপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুর বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ড ছত্রিশগড় রয়েলসীমা পুদুচেরি এবং করাইকাল কর্নাটক কেরল মাহে জম্মু-কাশ্মীর লাদাখ বিহার উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ এবং তেলেঙ্গানায় ঝড় এবং বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি বিদর্ভ ওড়িশা ঝাড়খন্ড বিহার ছত্রিশগড় এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আর তেমনভাবে কোন তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আইএমডি। তাপ প্রবাহের জন্য ওই এলাকাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আইএমডি পূর্বাভাস দিয়েছে গুজরাত উপকূল পশ্চিম মধ্য দক্ষিণ-পশ্চিম আরব সাগর কেরল কর্ণাটক উপকূল লাক্ষাদ্বীপ দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গোসাগর মান্নার উপসাগর এবং শ্রীলংকা উপকূল বরাবর ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ঝড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন্টায় ৬৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে আরো কিছু জায়গায়। ফলে ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের এসব জায়গায় না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তরফ থেকে।