ভারতের বুকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম রেল। ভারতের রেলওয়ে নেটওয়ার্ক এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে ছোটখাটো গ্রাম থেকে শুরু করে বড় বড় শহরতলী এই রেল পরিষেবার মাধ্যমে যুক্ত হয়। ভারতের বুকে এই বিশাল রেলওয়ে নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে রেলমন্ত্রক। প্রতিনিয়ত ভারতীয় রেল উন্নত করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে রেলওয়ে মন্ত্রক এবং সঙ্গে রেলওয়ে কর্মচারীরা। তবে এর মাঝেও বেশিরভাগ সময় অভিযোগ ওঠে ভারতীয় রেলে আবর্জনা ছড়িয়ে থাকা নিয়ে। এই দেশে এমন কিছু ট্রেন রয়েছে যা নিয়ে প্রতিনিয়ত সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিযোগ ওঠে আবর্জনা থাকার। সেই নিরিখেই আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের কয়েকটি নোংরা ট্রেনের নাম জানাবো যাতে ভ্রমণ না করাই ভাল আপনার পক্ষে।
আমরা যদি রেলের সবচেয়ে নোংরা ট্রেনের কথা বলি, তাহলে এই তালিকায় প্রথম নম্বরে রয়েছে সহরসা-অমৃতসর গরীব রথ ট্রেনের নাম। এই ট্রেনটি পাঞ্জাব থেকে সহরসা যায়। এই ট্রেনে একদিকে ভিড় যেমন প্রচন্ড হয় ঠিক অন্যদিকে ট্রেনে নোংরা পরিষ্কার করার পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ। এমনকি কিছু অভিযোগে এও জানা গিয়েছে যে এই ট্রেনের বাথরুমের নোংরা জল কোচের সিট অব্দি চলে আসে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে, যোগবানী-আনন্দ বিহার সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস ট্রেন, শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী-বান্দ্রা স্বরাজ এক্সপ্রেস ট্রেন, বান্দ্রা-শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী স্বরাজ এক্সপ্রেস ট্রেন, ফিরোজপুর-আগরতলা ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনগুলি সম্বন্ধে প্রচুর অভিযোগ শোনা যায়।
রেলওয়ে রেকর্ড অনুযায়ী আপনাদের জানাই ভারতের সবচেয়ে বেশি নোংরা ট্রেন পাওয়া যায় পূর্ব ভারতের দিকে যে ট্রেনগুলি যায়। আনন্দ বিহার-জোগবানী সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস, অমৃতসর ক্লোন স্পেশাল ট্রেন, আজমির-জম্মু তাভি পূজা এক্সপ্রেস ট্রেন, নয়াদিল্লি-ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেসেও নোংরামির অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি আপনি শুনলে অবাক হবেন যে কিছু সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি রাজধানীর এক্সপ্রেসও আবর্জনা পাওয়ার অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অন বোর্ড হাউস কিপিং সার্ভিস চালু করেছে। তাই এখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো অভিযোগ পেলেই বা টুইটারে কোনো টুইট দেখতে পেলেই সঙ্গে সঙ্গে সেখানে সাফাই কর্মী পাঠিয়ে দেয়।