বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই ত্বকের একাধিক সমস্যা নিয়ে ভুগছেন। তার মধ্যে ত্বকের ছিদ্র বৃদ্ধি পাওয়ার সমস্যা অন্যতম। ত্বকের ছিদ্র ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে থাকে। তবে যদি সেই ছিদ্র বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা কমে যায়। যার জন্য অনেকসময় অধিকাংশই দারস্ত হন চিকিৎসকদের কিংবা পার্লারের। তবে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে তিনটি কথা। এই নিবন্ধের সূত্র ধরে সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১) নিয়ন্ত্রিত স্ক্রাবিং: ত্বকের ছিদ্রের আকৃতি ঠিক রেখে নিয়ন্ত্রিত স্ক্রাবিং করা প্রয়োজন। কারণ অতিরিক্ত স্ক্রাবিং ত্বকের ছিদ্র বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ক্রিম থাকে, যা ত্বকের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয়। কারণ সেইসমস্ত ক্রিম ত্বকে বেশি মাখলে ত্বকের স্বাভাবিক ছিদ্র বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে এই ধরনের বিষয় থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়।
২) মুখে মেকাপের স্থায়িত্বের সময়: এমন অনেকেই রয়েছেন যারা মুখে মেকাপ ছাড়া কোথাও বেরোন না। সেক্ষেত্রে সেই মেকাপ মুখে থেকে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। এটি যে ত্বকের পক্ষে একেবারেই উপযুক্ত নয়, তা আর আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা মুখের মেকাপ ভালোভাবে পরিষ্কার করেন না, সেক্ষেত্রে সেটি ভীষণভাবে ক্ষতিকারক ত্বকের পক্ষে। অতিরিক্ত মেকাপ ত্বকের উজ্জ্বলতা কমিয়ে দেয় অনবরত। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেতে থাকে ত্বকের ছিদ্রের আকার, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা কমানোর পাশাপাশি সৃষ্টি করে একাধিক সমস্যাও। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মুখে মেকাপের স্থায়িত্বের সময় কমাতে হবে।
৩) ফেসওয়াশ ব্যবহার: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চারিদিক দূষণে ভরে গিয়েছে। আর সেই কথা মাথায় রেখেই বলা যায় সারাদিন মুখে ঘামের পাশাপাশি জমতে থাকে ধুলোবালি, যা ত্বকের উপর একটা পুরু আস্তরণ সৃষ্টি করে ত্বকের উজ্জ্বলতাকে কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে বিশেষ করে রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিজের ত্বকের উপযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়াই শ্রেয়।