বর্তমান সময়ে দেশের প্রতিটি প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সমীক্ষা করা দেখা গেছে স্কুল গুলিতে মিড ডে মিল এর ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে ক্রমাগত ছাত্র -ছাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু এই মিড ডে মিল নিয়ে উঠে এসেছে বহু সমালোচনা। মাত্র ৪-৫ টাকার বরাদ্দে কি পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া যায়? মাঝে এইসব প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। তবে এবারে মিড ডে মিল বিতর্কে জল ঢেলে রাজ্যগুলিকে বিকল্প প্রস্তাব পাঠালো কেন্দ্রের মোদী সরকার।
সম্প্রতি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে স্কুলে কিচেন গার্ডেন তৈরী করার নির্দেশ পাঠিয়েছে।জানা যায় যে, বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল ও মিশনারী গুলিতে ইতিমধ্যেই এই ধরণের ব্যবস্থা চালু আছে। কিন্তু কিছু কিছু সরকারি ও সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে এই ধরণের উদ্যোগ আগে থেকে নেওয়া হলেও এই প্রথম সমস্ত স্কুলের জন্য নয়া নীতি গ্রহণ করলো কেন্দ্র। এই উদ্যোগের পিছনে দুটি লক্ষ্য রয়েছে বলে মনে করেছে পর্যবেক্ষকরা।প্রথমত, শিক্ষক ও পড়ুয়াদের চাষাবাদ এবং পরিবেশ সম্বন্ধে আত্মনির্ভর করে তোলা। দ্বিতীয়ত, স্কুলের জমিতে পুষ্টিকর খাদ্যের চাষের জন্য বন্দোবস্ত করা।
কিন্তু কেন্দ্রের এই নয়া প্রস্তাবকেও ঘিরে তৈরী হয়েছে বিতর্ক।এই উদ্যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।কেন্দ্রের এই নীতি কীভাবে প্রণয়ন করা হবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কারণ শহরতলির এমন কিছু বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে জায়গার অভাব, তাই ওই সব স্কুলে কি করে বিকল্প চাষের ব্যবস্থা করা যাবে তা নিশ্চিত করে বলা উচিত ছিল কেন্দ্রের। তবে কেন্দ্রের নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে কিচেন গার্ডেন তৈরী করার জন্য সাহায্য ও পরামর্শ দেওয়া হবে।