ভারতীয় রেলওয়ে তাদের পরিষেবা উন্নত করার জন্য নিরন্তন পরিশ্রম করে চলেছে। এই পরিশ্রমের ফলাফল হলো গোটা দেশে বন্ধে ভারত এক্সপ্রেসের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা। তবে যতই উন্নত পরিষেবা হোক না কেন এখনও ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে নাস্তানাবুদ হতে হয় দেশবাসীদের। কোথাও যেতে গেলে দীর্ঘদিন আগে ট্রেনের টিকিট বুকিং করতে হয়। তবে আপনার যদি হঠাৎ করে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে একমাত্র ভরসা তৎকাল টিকিট বুক করা। কিন্তু অনেকেই এই তৎকালে টিকিট বুক করতে চাইলেও সফল হন না। আসলে এই তৎকাল টিকিটে যাত্রা করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই সম্পূর্ণ পড়ুন।
আপনাদের জানিয়ে রাখি অনলাইন বা অফলাইন দুই মোডেই বুক করা যায় ভারতীয় রেলওয়ের তৎকাল টিকিট। ভ্রমণের আগের দিন এই তৎকাল টিকিট বুক করতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই এই অনলাইনে তৎকাল টিকিট বুকিং করা অনেক সহজ। অফলাইনে টিকিট বুক করতে হলে রিজার্ভেশন সেন্টারে গিয়ে নির্দিষ্ট সময় ফর্ম ফিলাপ করে টিকিট বুক করতে হয়। কি করে টিকিট বুক করা যায় বা অফলাইন টিকিট বুকিং করার নিয়ম সমন্ধে বিস্তারিত বিবরণ সম্বন্ধে জানতে এই প্রতিবেদনের শেষ অংশটি অবশ্যই দেখে নিন।
১) অফলাইনের তৎকাল টিকিট বুক করতে গেলে প্রথমে রিজার্ভেশন সেন্টারে গিয়ে আপনাকে রিজার্ভেশন ফর্ম নিতে হবে। এতে যাত্রীর পুরো নাম ঠিকানা মোবাইল নাম্বার স্পষ্ট ভাবে লিখতে হবে। এই তথ্যে কোন ভুল থাকলে যাত্রী আইনি জটিলতাতেও জড়াতে পারেন। তাই খুব সাবধানে এই ফর্ম ফিলাপ করতে হয়।
২) এছাড়া রেলওয়ে নিয়ম অনুযায়ী পার্টলি কনফার্ম বা ওয়েটিং লিস্টে থাকা তৎকাল টিকিট বাতিল করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীদের টাকা ফেরত দেয়া হয়। কোনরকম নকল তৎকাল টিকিটের জন্য টাকা ফেরত দেওয়া হয় না।
৩)পিএনআর তৎকাল টিকিটে সর্বোচ্চ চারজন যাত্রীকে এই রিজার্ভেশন দেয়া হয়। ক্ষেত্রে যাত্রা সময় ওই যাত্রীকে তার কোন ভ্যালিড পরিচয়পত্র বহন করা বাধ্যতামূলক।
৪) এছাড়া তৎকাল রিজার্ভেশন এর জন্য যাত্রীকে লাইনে দাঁড়িয়ে ফর্ম নিতে হবে এবং ফর্ম ফিলাপে কোন ভুল হলে বিশেষ নিয়ম মেনে বিকল্প তৎকাল টিকিট ইস্যু করতে হবে।