দেশের ৫০৮ টি রেল স্টেশনের নতুনভাবে পুনঃনির্মাণ হতে চলেছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই স্টেশনের পুনঃনির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে দিয়েছেন। এই নতুন ধরনের রেলস্টেশনের নাম নেওয়া হচ্ছে অমৃত ভারত স্টেশন। এই প্রকল্প অনুসারে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন বড় বড় রেল স্টেশনের উন্নয়নের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এরপর এদেশের অনেক রেল স্টেশনের চেহারা পাল্টে গিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫০৮টি রেলস্টেশনের পুনর্নির্মাণ এবং উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই স্টেশন ২৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর মধ্যে উত্তর প্রদেশের ৫৫টি স্টেশন, রাজস্থানের ৫৫টি স্টেশন, বিহারের ৪৯ টি স্টেশন, মহারাষ্ট্রের ৪৪টি স্টেশন, পশ্চিমবঙ্গের ৩৭ টি স্টেশন, মধ্যপ্রদেশের ৩৪ টি স্টেশন, অসমের ৩২ ষ্টেশন, ওড়িশার ২৫ টি স্টেশন, পাঞ্জাবের ২২টি স্টেশন, গুজরাটের ২১টি স্টেশন, তেলেঙ্গানা ২১ টি স্টেশন, ঝাড়খণ্ডের ২০টি স্টেশন, অন্ধ্রপ্রদেশের ১৮টি স্টেশন, তামিলনাড়ুর ১৮টি স্টেশন, হরিয়ানার ১৫ স্টেশন, কর্ণাটকের ১৩টি স্টেশন, এবং কেরলের ২টি স্টেশন রয়েছে।
এই পুনর নির্মাণের ফলে যাত্রীদের অত্যাধুনিক কিছু সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনে আসা যাওয়া করতে যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে উঁচু সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। এই পুনঃনির্মাণের ফলে স্টেশনগুলিতে লিফট এবং এস্কেলেটর বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা করা হবে। এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ এবং কনকোর্স এরিয়া তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় ফুট কোর্ট, শপিংমল, ক্যাফেটেরিয়া এবং খেলার জায়গার ব্যবস্থা থাকবে এই সমস্ত স্টেশনে। প্রতি ঘন্টায় রেলস্টেশনে যে পরিমাণ আবর্জনা জমা হয় তার রিসাইকেল করার চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করার জন্য নতুন প্রযুক্তি আনা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। হাইটেক স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের পরীক্ষা করা হবে। তার পাশাপাশি ইন্ডিকেশন বোর্ড এবং দিব্যাঙ্গজন বান্ধব সুবিধাসহ একাধিক আধুনিক যাত্রী সুবিধা প্রদান করা হবে।