মাত্র ৫০০০ টাকা ইনভেস্ট করে ১৫০০০ টাকা ইনকাম করুন, বেশি পরিশ্রমের ঝামেলা নেই
বর্তমান যুগে একটা ভালো চাকরির খোঁজে প্রতিনিয়ত থাকে মানুষ। অল্পকিছু বেশি রোজগারের জন্যেও সর্বদা চেষ্টায় থাকে মধ্যবিত্ত। তবে এমন পরিস্থিতিতে যদি সামান্য পরিশ্রমেই ঘরে প্রতি মাসে ১৫০০০ টাকা করে আসে তাহলে, তা মন্দ হয় না। এই মুহূর্তে এই নিবন্ধের সূত্র ধরে সেই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একটা ভালো চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। তবে এক্ষেত্রে যদি কেউ নিজের মতো করে ব্যবসা করতে চান তাহলে তাদের জন্য রয়েছে একটি দারুণ উপায়। এক্ষেত্রে মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগই শুরু করা যাবে ব্যবসা। আর তার ফলস্বরূপ মাসে আয় হবে ১৫ হাজার কিংবা তারও বেশি। উল্লেখ্য, এই ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশেষ পরিশ্রমেরও প্রয়োজন হবে না।
মাশরুম চাষ করেই প্রতিমাসে ১৫০০০ টাকা আয় করা সম্ভব। একটি ১০ বাই ১০ ফুট ঘরেই এই মাশরুম চাষের কাজ শুরু করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, যেকোন সরকারি কৃষি প্রতিষ্ঠান থেকেই মাশরুম চাষের পদ্ধতি, তা বিক্রির ও তার থেকে আয়ের সমস্ত উপায় ও প্রক্রিয়া সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যই বিনা খরচে জানা সম্ভব। পাশাপাশি ব্যবসা চালানোর জন্য যেকোনো ধরনের সাহায্য প্রদান করা হয় প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে। বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে মাশরুমের ব্যবসা শুরু করা খুব একটা কঠিন কোন বিষয় নয়।
চাষের প্রক্রিয়া-
১) ঘরের মধ্যে বাঁশের ও স্প্লিন্টারের সাহায্যে একটি মাল্টিলেয়ার প্রস্তুত করতে হবে।
২) এরপর খড়, কম্পোস্ট সার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের সহযোগে একটি ভিত্তি প্রস্তুত করতে হবে।
৩) ভালো করে সেই জায়গায় জল দিয়ে প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
৪) এরপর তার মাঝে গর্ত করে বীজ পুঁতে দিতে হবে।
৫) যে ঘরে এই পুরো বিষয়টি করা হবে সেই ঘরটি প্রয়োজনমতো আদ্র ও অন্ধকার রাখা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, চাষের জন্য খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচা হয়। যদি চাষের পরিসর বাড়ানো হয় তাহলে, খরচা আরো একটু বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
চাষের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার পর দুই থেকে তিনদিন অন্তর জল ছিটিয়ে দিলেই ফলন ভালো হয়। প্রথমবার ফসল তোলার পর থেকে ৭ থেকে ১৫ দিন অন্তরে একবার করে মাশরুম তুলে তা বিক্রি করা সম্ভব। মাশরুম যাতে বিষাক্ত না হয়ে যায়, তার জন্য সপ্তাহে একদিন করে ছত্রাক পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
আর এক্ষেত্রে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা এই মাশরুমের মাধ্যমেই ঘরে আসবে। যদি আরো বেশি টাকা আয় করতে চান! তাহলে মাশরুম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা ভীষণভাবে লাভজনক হতে পারে। যেমন- মাশরুমের আঁচার, গুঁড়া, পাঁপড় ইত্যাদি। এগুলোর সূত্র ধরে মাসিক আয় দ্বিগুণ হওয়া সম্ভব।