নিউজদেশ

Chandrayaan 3:আমরা পৌঁছে গেলাম চাঁদে, কি হবে এর পরবর্তী পদক্ষেপ?

ভারতের চন্দ্র যান মিশন একেবারে সফল বলা যেতে পারে

Advertisement

ভারতের চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম ইতিমধ্যেই চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয় বিশ্বের জন্যও বিষয়টা খুবই ঐতিহাসিক। এই ল্যান্ডার নিজের সাথে একটি রোভার বহন করেছে, যেটা রয়েছে তার পেটের মধ্যে। তবে এর পরে কি হবে? কি কি করবে চন্দ্রযান বিক্রম? চলুন জেনে নেওয়া যাক পাঁচটি পয়েন্টে।

১. দুটি ইঞ্জিন দিয়ে হয়েছিল ল্যান্ডিং

ভারতের চন্দ্রযান তিন ল্যান্ডার বিক্রম অত্যন্ত সুরক্ষিত গতি নিয়ে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। প্রথমদিকে এই ল্যান্ডারের ইঞ্জিন চালু ছিল। তবে গতি কম করার পরে ইঞ্জিন বন্ধ করে দেওয়া হয় তার। এরপর গতি কম করে দিয়ে দুটো ইঞ্জিনের সাহায্যে একসাথে করা হয় ল্যান্ডিং। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় খুব সহজেই ল্যান্ড করে যায় আমাদের ল্যান্ডার বিক্রম।

২: ল্যান্ডিং করার সময় ছিল ধুলো

আমাদের চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম যখন চাঁদের মাটিতে অবতরণ করছে সেই সময় মাটির কাছাকাছি জায়গাতে প্রচুর ধুলো থাকার কারণে একটু সমস্যা হয়েছিল চন্দ্রযানের। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এমনিতেই অনেকটা দুর্বল তাই ধুলো জমতে বেশ কিছুটা সময় লাগে এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ে পরেই ধুলো কিন্তু সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।

৩: পেট থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান

ভারতের চন্দ্রযান ধুলো কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে গিয়েছিল সময় নেবে। জানা যাচ্ছে ভারতের চন্দ্রযানের আশেপাশের ধুলো কাটাতে মোটামুটি তিন ঘন্টা মত সময় লাগবে এবং তারপরেই রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়ে আসবে চন্দ্রযানের ভিতর থেকে। ভারত পৃথিবীর প্রথম দেশ যারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছাতে পেরেছে।

৪: এখনো থাকবে দীর্ঘ অপেক্ষা

ভারতের চন্দ্র যান চাঁদের পৃষ্ঠে ভালোভাবে ল্যান্ড করে গেলেও এখনো পর্যন্ত যে পুরোটা সফলতা পেয়েছে সেরকম নয়। ভারতের চন্দ্রযান এর আশেপাশের সমস্ত ধুলো কেটে গেলে তারপর চন্দ্রযানের ভিতর থেকে রোভার বেরিয়ে আসবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য সংবেদনশীল সরঞ্জাম গুলি যাতে নষ্ট না হয় সেগুলির ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

৫: বৈজ্ঞানিক মিশন শুরু করবে খুব শীঘ্রই

ভারতের চন্দ্রযানের রোভার প্রজ্ঞানে ইতিমধ্যেই একটি সৌর প্যানেল দেওয়া হয়েছে। ল্যান্ডার বিক্রমের সাথে সংযুক্ত একটি টিথার থেকে বেরিয়ে আসবে এই রোভার। এর মাধ্যমে চাঁদের পৃষ্ঠে ওই রোভার স্থিতিশীল হয়ে যাবার পরে টিথার বিচ্ছিন্ন হবে। এরপরে তার বৈজ্ঞানিক মিশন শুরু করবে ভারতের চন্দ্রযান। এর পাশাপাশি এই রভার চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি অশোক স্তম্ভের পদচিহ্ন রেখে আসতে চলেছে।

Related Articles

Back to top button