Inflation problem : এলপিজি সিলিন্ডারের পর এই সমস্ত জিনিসের দাম কমবে এই মাসে, মূল্যস্ফীতি থেকে বড় স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ
মূল্যস্ফীতির সময়কাল শেষ হতে চলেছে ভারতে
সম্প্রতি গার্হস্থ সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ২০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম কমেছে ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। এই পরিস্থিতিতে খুচরো মূল্যস্ফীতি থেকে সবথেকে বেশি স্বস্তি পেতে চলেছেন সাধারণ মানুষ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তি কান্ত দাস নিজেই এ বিষয়ে আশাবাদী যে খুচরা মূল্যস্ফীতির পতন এই মাস থেকে শুরু হতে পারে। এরপরে দাম কমবে সাধারণ ব্যবহৃত জিনিসের।
টমেটোর মত সবজির দাম কমানোর পাশাপাশি নন বাসমতি চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এছাড়াও বাড়িতে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত সরকার। ইন্দরের দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি কার্যক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই সমস্ত মন্তব্য করেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তি কান্ত দাস। এর আগে রিজার্ভ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় বোর্ডের বৈঠকেও এই একই কথা বলেছিলেন শক্তি কান্ত দাস। তিনি আরো বলেন, ” আমরা আশা রাখি সেপ্টেম্বর মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি অনেকটাই কমে যাবে এবং দাম অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে সাধারণ জিনিসের দাম অনেকটা কমতে শুরু। ইতিমধ্যেই টমেটোর দাম কমছে এবং অন্যান্য সবজির দাম চলতি মাস থেকে কমতে শুরু করেছে। অনেকটাই সাশ্রয়ী মূল্যে এবারে জনগণের কাছে টমেটো এবং অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিতে পারবে সরকার। এছাড়াও নন বাসমতি চাল রপ্তানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যাতে চালের দাম বৃদ্ধি না হয়। এছাড়াও বাড়িতে ব্যবহৃত রান্নার গ্যাসের দাম অনেকটাই কমানো হয়েছে।”
সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রধানত শাকসবজি এবং খাদ্য সামগ্রিক দাম বৃদ্ধির কারণে এই বছর জুলাই মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি ৭.৪৪ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। গত ১৫ মাসের মধ্যে এটি ছিল সর্বোচ্চ। সেখান থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। জুন মাসে এই খুচরো মূল্যস্ফীতি ছিল ৪.৮১ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, জুলাই মাসে খুচরো মূল্যস্ফীতি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেই কারণেই টমেটো এবং অন্যান্য সবজির দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। তবে এবারের কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের ফলে আবারও দাম কমতে শুরু করেছে সাধারণ জিনিসের। সমস্ত বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও ভারত এখন বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে। শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার কারণে ভারতীয় ব্যাংকের অবস্থান অনেকটাই শক্তিশালী এবং অনেকটা বেশি স্থিতিশীল। আমেরিকার কিছু ব্যাংক এবং সুইজারল্যান্ড এর ক্রেডিট সুইসের মত ব্যাংকের ব্যর্থতা আপনারা অবশ্যই দেখেছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে ভারতের উপরে কোনো প্রভাব পড়েনি। খুব শীঘ্রই পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে এবং আগের মতই দাম হয়ে যাবে সাধারণ জিনিসের।