এই ব্যবসায় লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম, নামমাত্র টাকায় ব্যবসা শুরু করে কামান অন্তত ৩০ হাজার টাকা
চায়ের সাথে বিস্কুট ভারত এবং বিশ্ব জুড়ে সর্বাধিক পছন্দ করা স্ন্যাক। সব বয়সের মানুষই বিস্কুট খেতে ভালোবাসেন, যা শহর বা গ্রামের প্রতিটি দোকানে সস্তায় পাওয়া যায় খুব কম দামের মধ্যে। বিস্কুটের বাজার কখনও ডাউন হয়নি এখনো। বিস্কুট একটি খুব সুস্বাদু স্ন্যাক যা বিভিন্ন স্বাদ, আকার, বৈচিত্র্যের সঙ্গে বাজারে পাওয়া যায়। আপনিও চাইলে শুরু করতে পারবেন বিস্কুট তৈরি ব্যবসা। পকেটে এক মাসের মাইনের সমান টাকা থাকলেই যথেষ্ট।
বিস্কুট কিংবা কুকিজ একটি খুব সুস্বাদু এবং জনপ্রিয় খাদ্য সামগ্রী। উপরন্তু, জনসংখ্যার একটি খুব বড় অংশ এখনও তাজা বেকড বিস্কুট খেতে পছন্দ করে। আপনি যদি বেকিং পছন্দ করেন এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে গভীর আগ্রহ রাখেন তবে এটি আপনার জন্য অন্যতম সেরা ব্যবসা হতে পারে। তদুপরি এটি বিস্কুট তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য একটি ব্যয় এবং বিনিয়োগ দুটোই থাকবে সাধ্যের মধ্যে। মূলত, বিস্কুট উত্পাদন ঐতিহ্যবাহী বেকারি শিল্পের অন্তর্গত। আপনার বাড়িতে যদি একটু জায়গা থাকে, তাহলে ঘরে বসেই শুরু করতে পারেন বিস্কুট তৈরির ব্যবসা।
আপনি খুব অল্প টাকায় ঘরে বসেই ছোটো পর্যায় থেকে বিস্কুট তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ক্রমে আপনি প্রতি মাসে কমপক্ষে ২৫,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বিস্কুট তৈরির ব্যবসার সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এই ব্যবসা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, লোকসানের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
ভারত সরকারও বিস্কুট তৈরির ব্যবসা শুরু করতে সহযোগিতা করছে। ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক চালু করা প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনার (পিএমএমওয়াই) আওতায় আপনি সহজেই যে কোনও ব্যাংক থেকে ব্যবসায়ের জন্য লোন পেতে পারেন। তবে কেউ যদি ভাবেন যে নিজের হাতে সব না করে মেশিন বসিয়ে, অনেক লোক রেখে ব্যবসা শুরু করবেন, তাহলে কিন্তু খরচা অনেকটাই বাড়বে। সেই সঙ্গে অবশ্য লাভ বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। একই সঙ্গে আপনাকে শিখতে হবে বিস্কুট বানায় কীভাবে।