অক্টোবর মাসের ১ তারিখ থেকে সারা দেশে কার্যকর হতে চলেছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইন, ২০২৩। অর্থাৎ এখন থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। স্কুল, কলেজে ভর্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদন, ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করা, আধার রেজিস্ট্রেশন, বিবাহ নিবন্ধন বা সরকারি চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করা হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিষয়ে ঘোষণা করেছে। গত মাসে শেষ হওয়া বর্ষা অধিবেশনে সংসদের উভয় কক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, ২০২৩ পাস করানো হয়েছিল। ১৯৬৯ সালের আইনের সংশোধন করা হয়।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইন কার্যকর হওয়ার পরে আধার থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সরকারি নথি তৈরিতে জন্ম শংসাপত্রের গুরুত্ব বাড়বে। ২০২৩ সালের ১ আগস্ট লোকসভায় এবং ৭ আগস্ট রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়। এর পরে, কেন্দ্রীয় সরকার এখন এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং ১ অক্টোবর থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর করার কথা জানিয়েছে।
আইনটি ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর একটি জাতীয় ডাটাবেস বজায় রাখার ক্ষমতা প্রদান করেছে। এজন্য সব রাজ্যের পক্ষ থেকে চিফ রেজিস্ট্রার ও রেজিস্ট্রার নিয়োগ করা হবে। এই কর্মকর্তারা নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য জাতীয় ডাটাবেজে জমা করে দেবেন। চিফ রেজিস্ট্রার রাজ্য স্তরে একটি অভিন্ন ডাটাবেস প্রস্তুত করবেন।
এই বিলের একটি প্রধান উদ্দেশ্য হল নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর জন্য জাতীয় এবং রাজ্য স্তরের ডাটাবেস স্থাপন করা। এই উদ্যোগটি অন্যান্য ডাটাবেসগুলির জন্য আপডেট প্রক্রিয়াগুলি উন্নত করবে। ফলে আগের থেকে আরও উন্নত হবে পাবলিক সার্ভিস।