অনেকেই আয়ুষ্মান কার্ড বানাতে চান। কীভাবে আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করতে হয় তা জানা জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের জীবনে আয়ুষ্মান কার্ডের খুব গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এই কার্ডের সাহায্যে সমস্ত হাসপাতাল ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হেলথ কভারেজ পাওয়া যায়। যারা এখনও আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করেননি, তাদের অবিলম্বে আয়ুষ্মান কার্ড নেওয়া উচিত। সম্প্রতি হরিয়ানার মেওয়াতের ডেপুটি কমিশনার ধীরেন্দ্র খড়গাতার সভাপতিত্বে আয়ুষ্মান ভারত অভিযানের সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আপনি যদি এখনও আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শুরু করা বিশেষ ধরনের প্রচার অভিযানের সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি এই কার্ড তৈরি করা সম্পর্কে কিছুই না জেনে থাকেন তবে এর জন্য আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়তে হবে। আপনি কীভাবে আয়ুষ্মান কার্ড বানাতে পারবেন এবং কখন আয়ুষ্মান কার্ড বানানো শুরু করবেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
আয়ুষ্মান কার্ড থাকাটা সবার জন্যই খুবই জরুরী, কারণ কোনও কারণে হঠাৎ করে পরিবারের কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গেলেই, কিন্তু আপনার সদস্যের সঠিক চিকিৎসা করানোর মতো যথেষ্ট টাকা আপনার কাছে নেই। তবে আপনার যদি আয়ুষ্মান কার্ড থাকে তবে আপনি আপনার সদস্যের সাথে ভাল আচরণ করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু আপনি জানেন না কখন আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি হতে শুরু করবে, তাই আপনাদের সকলের অবগতির জন্য আমি আপনাদের জানাতে চাই যে সম্প্রতি আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে যেখানে তাঁরা বলেছেন যে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ একটি বিশেষ ধরনের ক্যাম্পেইন চালাবে, যে সময়ে আপনি নিজের জন্য আয়ুষ্মান কার্ড বানাতে পারবেন।
জেলাজুড়ে ৫৩৫টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে, এসব সার্ভিস সেন্টারে কার্ডও তৈরি করা যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এই কর্মসূচি চলাকালীন সচেতনতা শিবির, রক্তদান শিবির এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান, অঙ্গদানের মতো কার্যক্রমের আয়োজন করা হবে এবং প্রতিটি গ্রাম সভায় আয়ুষ্মান সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যারা আয়ুষ্মান কার্ড পেতে চান, তাদের আয়ুষ্মান কার্ড বানিয়ে দেবে স্বাস্থ্য দফতর। আয়ুষ্মান কার্ড তৈরির তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এই সময়ের মধ্যে সব মানুষের আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করা হবে। জেলার ৪২ শতাংশ মানুষ আয়ুষ্মান কার্ড তৈরি করেছেন এবং তাদের কার্ড দেওয়া হয়েছে। এবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত আবেদনকারীকে আয়ুষ্মান কার্ড বিতরণ করা হবে।