ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

কৃষিকাজের জন্য আর দরকার লাগবে না মাটি, জল, এই পদ্ধতিতে বাড়িতেই চাষ করে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত করুন রোজগার – BUSINESS IDEA

আপনি এই ভারটিকাল ফার্মিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বাম্পার আয় করতে পারবেন

Advertisement

বর্তমান সময়ে যেভাবে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই তুলনায় চাষের আয়তন দ্রুত গতিতে সংকুচিত হতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় সেই দিন দূরে নয় যখন ফল এবং সবজি ক্ষেতের পরিবর্তে সব জায়গায় তৈরি হবে কারখানা। তাই এবারে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি কাজ শুরু করেছে ইজরাইল। এই নতুন প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ভার্টিক্যাল ফার্মিং এবং ভারতেও বর্তমানে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এগ্রো প্রজেক্ট কোম্পানি এই ধরনের প্রকল্প চালানো শুরু করেছে এবং মহারাষ্ট্রের এই মুহূর্তে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভার্টিকাল ফার্মিং। এর মাধ্যমে হলুদ চাষ করছে বিভিন্ন কোম্পানি।

এই ভার্টিকাল চার্জ হলে এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে আপনি ১ একর চাষ করে ১০০ একরের সমান ফলন পেতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি এক একর জমিতে আপনি ফসল ফলানোর চেষ্টা করেন তাহলে আপনি ১০০ একরের সমান ফসল ফলাতে পারবেন। বলতে গেলে এই প্রযুক্তিতে ফসল ফলানোর জন্য বিশেষ জমির প্রয়োজন নেই। মূলত মাটির উপরে কয়েকটি স্তরে এই চাষ করা হয়ে থাকে। এই চাষের জন্য একটি বড় সেট তৈরি করা হয় এবং এর তাপমাত্রা রাখা হয় ১২ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তারপর বিভিন্ন পাইপ বিছিয়ে দেওয়া হয় একেবারে উলম্বভাবে এবং এর উপরের অংশ খোলা রাখা হয়। এই পদ্ধতিতে এই মুহূর্তে হলুদ চাষ করা হচ্ছে।

বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উলঙ্গ চাষ করে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে মাটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিশেষ ফগার স্থাপন করা হয় যা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জলের স্প্রে ব্যবহার করে। জিগ জ্যাগ পদ্ধতিতে বীজ বপন করে আপনি খুব ভালো হলুদের চাষ করতে পারবেন। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে হলুদ প্রস্তুত হয়ে যায় এবং হলুদ কাটার পর এই আবারো নতুন করে ফসল রোপন করা যায়। এই পদ্ধতিতে আপনি বছরে তিন থেকে চারবার পর্যন্ত হলুদের ফসল তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে কোনরকম পোকামাকড় বা ঝড়ে ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে, জলের সাশ্রয় হবে একই সাথে। আপনি মোটামুটি প্রতিবছরের আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন এই চাষ করে।

Related Articles

Back to top button