বলিউডের অন্যতম সুন্দরী ও প্রথম সারির অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। ১৯৯৪’তে মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯৬’তে বড়পর্দায় পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী। তবে তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কারণে-অকারণে মিডিয়ার পাতায় চর্চায় থাকেন অভিনেত্রী। তবে এই মুহূর্তে নিজের পুরানো একটি ঘটনার সূত্র ধরেই চর্চার আলো কেড়েছেন অভিনেত্রী। আর সেই সূত্রে চর্চায় উঠে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তীও।
ঘটনাটি ২০০৬ সালের। ‘চিঙ্গারী’ ছবির শুটিং চলাকালীন ঘটেছিল ঘটনাটি। কল্পনা লাজমি দ্বারা পরিচালিত ‘চিঙ্গারী’তে মূল তিন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুস্মিতা সেন, মিঠুন চক্রবর্তী ও অনুজ স্বামী। এই ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী নেতিবাচক চরিত্রেই পর্দার সামনে হাজির হয়েছিলেন। ছবির শুটিং শুরু হওয়ার প্রথম দিনেই ঝামেলা দেখা দিয়েছিল। মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে অভিনয় করতে নারাজ ছিলেন সুস্মিতা সেনে। পরিচালকের অনেক বোঝানোর পর শুরু হয়েছিল শুটিং। এরপরই অনস্ক্রিন ঘটেছিল এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যার সূত্র ধরে আবারো চর্চায় এই দুই তারকা।
মহারাষ্ট্রের সাতারাতে চলছিল ছবির শুটিং। এই শুটিং চলাকালীনই একাধিকবার রিটেক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অভিনেতার সাথে তার একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করার কথা হয়েছিল ছবি শুটিংয়ের শুরুতেই। তবে সেই দৃশ্যের শুটিং শেষ করার পরেই সেট ছেড়ে সোজা নিজের মেকাপ ভ্যানে চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পরে অভিনেত্রী অভিযোগ জানিয়েছিলেন শুটিং চলাকালীন যে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছিল সেটি অভিনেতা ইচ্ছাকৃতভাবেই ঘটিয়েছিলেন।
এই ঘটনার সূত্র ধরে পরিচালক অভিনেত্রীকে অনেকবার বুঝিয়েছিলেন, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করার সময় এই ধরনের অভিজ্ঞতা খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে এই অভিযোগের সূত্র ধরে সেইসময়ে ছবি থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে পরে পরিচালকের অনুরোধেই তিনি শেষপর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত নেননি। বর্তমানে এই ঘটনাই আবারো চর্চার আলো কেড়েছে।