টাটা নেক্সনের পুরো বাজার শেষ করে দেবে মাহিন্দ্রা কোম্পানির এই নতুন গাড়িটি, দেখুন কি কি নতুন ফিচার এলো গাড়িতে
ভারতের বাজারে সম্প্রতি এই গাড়িটি দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে
মাহিন্দ্রা কোম্পানিটি এবারে লঞ্চ করতে চলেছে তাদের নতুন ভার্সনের XUV400। কিছু নতুন বৈশিষ্ট্য আপডেট করে ভারতীয় বাজারে এই নতুন গাড়ি লঞ্চ করতে চলেছে তারা। ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে এই গাড়িটি হতে চলেছে একেবারে নতুন মডেল। বেশ কিছু নতুন আপডেট নিয়ে আসা হয়েছে এই গাড়িতে। ভারতীয় গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির এটি একমাত্র বৈদ্যুতিক গাড়ি এখনো পর্যন্ত। এই গাড়িতে এমন কিছু ফিচার রয়েছে যা টাটা নেক্সন গাড়িকে টক্কর দিতে পারে। এই দুটি গাড়ির মধ্যে একটা দারুণ প্রতিযোগিতা সবসময় চলতে থাকে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন গাড়ি আপনার কেনা উচিত।
প্রথমত আমরা যদি এই দুটি গাড়ির ব্যাটারি প্যাক সম্পর্কে বলি তাহলে টাটা মোটরস কোম্পানিটি তাদের ২০২৩ এর টাটা নেক্সন ইভি মডেলে একটি মিড রেঞ্জ ভেরিয়েন্ট নিয়ে এসেছিল ৩০ কিলোওয়াট ঘন্টা ব্যাটারি প্যাক সহ। এর পাশাপাশি একটি লং রেঞ্জ ভেরিয়েন্ট নিয়ে এসেছিল একটি ৪০ কিলোওয়াট ঘন্টা ব্যাটারি প্যাক দিয়ে। অন্যদিকে মাহিন্দ্রা এন্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানির XUV400 গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ৩৪.৫ কিলোওয়াট ঘন্টা ব্যাটারি প্যাক। এই ব্যাটারি প্যাক আপনাকে মোটামুটি ৩৭০ থেকে ৪৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই গাড়িতে আপনি পেয়ে যাবেন ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি।
মাহিন্দ্রা কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের এই নতুন XUV গাড়িটির মোটর প্রায় ১৫০ BHP শক্তি তৈরি করতে পারে এবং ৩১০ নিউটন মিটার সর্বোচ্চ টর্ক তৈরি করতে পারে। এই ইঞ্জিনটি ৮.৩ সেকেন্ডে প্রায় ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি ছুঁতে পারে। অন্যদিকে ২০২৩ সালের টাটা নেক্সন গাড়িটিতে আপনারা ১২৭ BHP শক্তি পেয়ে যাচ্ছেন যা ২১৫ নিউটন মিটার টর্ক তৈরি করে। অন্যদিকে লং রেঞ্জ ভেরিয়েন্টে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ১৪৩ বিএইচপি শক্তি এবং ২১৫ নিউটন মিটার টর্ক।
অন্যান্য ফিচার এর কথা বললে মাহিন্দ্রা কোম্পানির নতুন গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম। এর পাশাপাশি আপনারা পাবেন ক্রুজ কন্ট্রোল, স্মার্ট ওয়াচ কানেক্টিভিটি, ফোর স্পিকার সিস্টেম, ওয়ারলেস চার্জিং, সহ আরো বেশ কিছু নতুন নতুন ফিচার। এর পাশাপাশি এই গাড়ির নিরাপত্তার দিকে বেশ ভালো নজর দেওয়া হয়েছে। এই গাড়িতে আপনারা পেয়ে যাচ্ছেন ইলেক্ট্রনিক্স টেবিলিটি কন্ট্রোল, ছয়টি এয়ার ব্যাগ, রিয়ার পার্কিং সেন্সর, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম, ইলেকট্রনিক্স স্টেবিলিটি প্রোগ্রাম, হিল হোল্ড আসিস্ট এবং ফ্রন্ট ফগ ল্যাম্পের মতো বেশ কিছু অত্যাধুনিক ফিচার। এই নতুন গাড়িটি আপনারা পেয়ে যাবেন ১৫.৯৯ লক্ষ টাকা থেকে ১৮.৯৯ লক্ষ টাকার মধ্যে।