বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লব চলছে বিশ্বে, বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা এবং চীনে। এসব দেশে মোট গাড়ি বিক্রিতে বৈদ্যুতিক গাড়ির অংশ আলাদা করে বলতে হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে ইউরোপে বিক্রি হওয়া প্রতি পঞ্চম গাড়িই ছিল বৈদ্যুতিক গাড়ি। মোট গাড়ির মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির অংশ ছিল ২১ শতাংশ। চলতি বছরের আট মাসে ইউরোপে মোট ১০ লাখ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত ১৩ মাস ধরে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি ক্রমাগত বাড়ছে। গত এক বছরে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ি এখনও পেট্রোল গাড়ির বিকল্প হয়ে উঠতে না পারলেও বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। করোনা অতিমারির পর পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্টে ইউরোপে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে ব্যাটারির দাম কমেছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। ইউরোপের বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির (লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি) দাম প্রথমবারের মতো প্রতি কিলোওয়াট প্রতি ১০০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইন্টেলিজেন্সের উল্লেখ করে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম পেট্রল গাড়ির দামের সমতুল্য করতে ব্যাটারির দাম প্রতি কিলোওয়াট প্রতি ১০০ ডলারের নিচে আনা দরকার। আগামী সময়ে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দাম আরও কমবে বলেও জানানো হয়েছে। ব্যাটারির দাম কমে যাওয়ায় ইউরোপের বাজারে এখন বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম দ্রুত কমছে। এই গাড়িগুলি এখন পেট্রোল গাড়ির দামে পাওয়া যাবে। এতে গ্রাহক ও গাড়ি কোম্পানি উভয়ই লাভবান হবে।
এ থেকে আপনি অনুমান করতে পারেন যে গত এক দশকে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির দাম ৮০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, আগামী দিনগুলোতে এই দাম আরও কমবে। কারণ গত কয়েক মাসে নেভাদা ও ওরেগনে লিথিয়ামের বিশাল মজুদ পাওয়া গেছে।