বর্তমানে প্রায় সকল গৃহস্থ ঘরেই গ্যাস ব্যবহার করে রান্না করা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গ্যাস ছাড়া একটা দিন কাটানো খুব দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায় বেশিরভাগের কাছে। তবে এক্ষেত্রে অনেকের অভিযোগ এক মাস কিংবা তার আগেই শেষ হয়ে যায় গ্যাস। আর এখন গ্যাসের দাম উর্ধ্বমুখী, যা নাভিশ্বাস তুলে দিচ্ছে মধ্যবিত্তের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যদি একমাসের বদলে দু’মাস একটি গ্যাস ব্যবহার করা যায় তাহলে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে অধিকাংশ।
যদি একমাসের বদলে দু’মাস একটি গ্যাস চালাতে হয় তাহলে, ঘরোয়া কিছু টোটকা মাথায় রাখলেই চলবে। এই নিবন্ধের সূত্র ধরেই সাধারণের উদ্দেশ্যে তেমনই কিছু ঘরোয়া টোটকার প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১) কমসময়ে রান্না শেষ করার জন্য বেশ কিছু রান্নার ক্ষেত্রে প্রেসার কুকার ব্যবহার করা যেতে পারে। ভাতের জন্য রাইস কুকার ব্যবহার করলে তা ভীষণভাবে গ্যাস সাশ্রয় করতে সাহায্য করে থাকে।
২) সর্বদা গ্যাসের বার্নার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। রান্নার পর প্রতিদিন ভালোভাবে গ্যাস মুছে নিতে হবে। গ্যাস জ্বালানোর পর বার্নার থেকে নীল শিখা বেরোলে তবেই বুঝতে হবে যে গ্যাস পরিষ্কার রয়েছে, কারণ বার্নার অপরিষ্কার থাকলে গ্যাস বেশি খরচ হয়।
৩) সবজি রান্না করার সময় সবজিগুলোকে একেবারে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে তাহলে, সেদ্ধ হতে কম সময় লাগে। আর এই পদ্ধতি গ্যাস সাশ্রয় করে থাকে।
৪) গ্যাস সাশ্রয় করতে ঢাকা দিয়ে রান্না করা ভীষণভাবে প্রয়োজনীয়। কারণ ঢাকা দিয়ে রান্না করলে উৎপন্ন তাপ বাষ্প হয়ে উবে যায় না।
৫) কখনোই ভেজা বাসনপত্র গ্যাসে বসাতে নেই। কারণ এতে সেই পাত্র গরম হতে যথেষ্ট সময় লাগে, যাতে গ্যাস বেশি পোড়ে।
৬) রান্না করার আগেই সমস্ত রান্নার উপকরণ জোগাড় করে নিয়েই বসা উচিৎ। আর যদি গ্যাস জ্বালানোর পর জোগাড় করতে বসেন তবে গ্যাস প্রয়োজনের থেকে বেশি পুড়বে। এক্ষেত্রে গ্যাস সাশ্রয় করার জন্য এই টোটকা শোনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।