সামান্য অসাবধানতার কারণে আপনার ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এক্ষুনি করুন সবকিছু সমাধান
আপনি যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে এই খবরটি আপনার জন্যই
অর্থ সঞ্চয় অথবা অর্থ বিনিয়োগের জন্য দেশের বেশিরভাগ মানুষই একটা ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করে থাকেন নিজের নামে। মানুষরা তাদের সমস্ত সঞ্চয় এই ব্যাংক একাউন্টে গচ্ছিত রাখে। তবে অনেক সময়, কিছু ভুল ভ্রান্তির কারণে তাদেরকে লোকসানের মুখে পড়তে হয়। ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কিত ক্ষতি এর মধ্যে অন্যতম। আসলে অনেক সময় মানুষের ব্যাঙ্ক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যায় এর কারনে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই কারণগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত।
অনেক সময় ব্যাংক একাউন্টে কোন লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে না ঘটলে ব্যাংক একাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি দু বছরে কোন সেভিংস একাউন্ট বা কারেন্ট একাউন্টে কোন রকম লেনদেন না হয় তাহলে সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। যদি কোন সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা কারেন্ট একাউন্টে, দু’বছর ধরে কোন লেনদেন না হয় তবে ব্যাংক সেই অ্যাকাউন্ট কে নিষ্ক্রিয় একাউন্ট হিসেবে বিবেচনা করে এবং আর বি আই এর নতুন গাইডলাইন অনুসারে সেই একাউন্ট বন্ধ করে দেয়। এর জন্য একটি পৃথক লেজার তৈরি করা হয়।
তবে যে কারণেই হোক কোন ব্যাংক একাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে মানুষকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এই সময়ে যদি তারা নিজেদের ব্যাংক একাউন্টে লগইন করতে চান তাহলে তারা কিন্তু করতে পারবেন না। তার পাশাপাশি তারা এই ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে কোনরকম পেমেন্ট করতে পারবেন না। আপনাদের জানিয়ে রাখি, কোন ব্যাংক একাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লে সেই ব্যাংক একাউন্টের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত ক্রেডিট এবং ডেবিট লেনদেন কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়। এই মুহূর্তে ভারতে ইউপিআই আরটিজিএস এনইএফটি সবাই ব্যবহার করেন। কিন্তু এই সমস্ত একাউন্টে এরকম কোন কিছুই ব্যবহার করা যায় না। এ পাশাপাশি ডেবিট কার্ড কিংবা চেকবুক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরবিআই জানাচ্ছে যদি কোন সেভিংস একাউন্টে কোন লেনদেন না হয় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু একেবারে বাতিল করে দেওয়া হবে না সেই একাউন্ট। নিয়মিতভাবে আপনি সেই সেভিংস একাউন্টে সুদ পেয়ে যাবেন। এর পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র দিয়ে সেই অ্যাকাউন্ট আবার সক্রিয় করতে পারবেন আপনি। নিজের পরিচয় দিয়ে আবারো নিজের শাখায় গিয়ে এই ব্যাংক একাউন্ট সক্রিয় করতে পারেন আপনি। তবে এই পদ্ধতিটা এতটা সোজা হয় না।