কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ২৫ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ভারতের প্রথম গ্রিন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাসের উদ্বোধন করেছেন। এই বাস দুটি বাস দেশ জুড়ে ৩ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক একদিন আগে বলেছিল, “এই ট্রায়াল থেকে প্রাপ্ত তথ্য একটি মূল্যবান জাতীয় সম্পদ হিসাবে কাজ করবে। যা ভারতের গ্রিন হাইড্রোজেন-ভিত্তিক শূন্য নির্গমন গতিশীলতা মিশনে সাহায্য করবে।”
গ্রিন হাইড্রোজেন পেট্রোলিয়াম পরিশোধন, সার উত্পাদন এবং ইস্পাত উত্পাদনে জীবাশ্ম জ্বালানীকে প্রতিস্থাপন করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। “পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উত্স ব্যবহার করে উত্পাদিত গ্রিন হাইড্রোজেন স্বল্প-কার্বন এবং স্বনির্ভর অর্থনৈতিক পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সম্ভাবনা রয়েছে,” মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গ্রিন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভারতে প্রথমবারের মতো বাস চালানোর জন্য ৩৫০ বার প্রেসারে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান অয়েল দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের নির্বাচিত রুটগুলিতে ১৫ টি বাসের পরীক্ষার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক নকশা প্রোগ্রাম শুরু করেছে। ইন্ডিয়ান অয়েল ফরিদাবাদে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক বিতরণ ব্যবস্থাপনা স্থাপন করেছে। যা সৌর পিভি প্যানেল ব্যবহার করে জ্বালানী কোষে ইলেক্ট্রোলাইসিসের মাধ্যমে প্রস্তুত গ্রিন হাইড্রোজেন পূরণ করতে সক্ষম হতে পারে।
গ্রিন হাইড্রোজেন শক্তির সবচেয়ে আধুনিক উৎস বলে মনে করা হয়। এই শক্তির উৎসে পরিবেশ দূষণ হয় না। গ্রিন হাইড্রোজেন এবর্জি তৈরি করতে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন জল থেকে পৃথক করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ইলেক্ট্রোলাইজার ব্যবহার করা হয়। ইলেক্ট্রোলাইজার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি (সৌর, বায়ু) ব্যবহার করে। সবুজ হাইড্রোজেন পরিবহন, রাসায়নিক, লোহা সহ অনেক জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে।