রাস্তাঘাটে কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা পেমেন্ট করেন? সাবধান! ফাঁকা হয়ে যেতে পারে অ্যাকাউন্ট – QR Code Scam
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রায় সমস্ত ধরনের পেমেন্ট ক্যাশলেস হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে আজকের প্রজন্ম মুদির দোকান থেকে শুরু করে চায়ের দোকান, কোন বড় রেস্তোরাঁ কিংবা কাউকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে এই কিউআর কোড স্ক্যান করা কিংবা নেট ব্যাঙ্কিংয়ে উপরে ভরসা করে থাকেন। বারবার ব্যাঙ্কে কিংবা এটিএমে গিয়ে টাকা তোলা ও ফেলার দিন প্রায় শেষই হয়ে গিয়েছে। তবে এই প্রগতিশীল যুগে প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে জালিয়াতির পরিমাণও বাড়ছে ততটাই। সম্প্রতি নিউজ ১৮ বাংলায় প্রকাশিত হওয়া একটি সংবাদের সূত্র ধরেই কিউআর কোড জালিয়াতি সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে।
সেই খবর অনুযায়ী, এখনকার প্রায় সবকিছুতেই কিউআর কোড স্ক্যানের একটা ব্যাপার থাকে। তবে চেনা পরিচিত কিংবা কোনো অথেন্টিক জায়গা ছাড়া কিউআর কোড স্ক্যান করা যে বেশ বিপদজনক, তা বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞরাই জানাচ্ছেন। ইন্টারনেটের যুগে সাইবার ক্রাইমের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে অনেক। এখন বিভিন্ন জায়গাতে এই কিউআর কোড স্ক্যানের সূত্র ধরেই হচ্ছে জালিয়াতি। যার সূত্র ধরে বহু সাধারণ নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
ব্যাঙ্ক, সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি পুলিশরাও বারবার যেকোনো অচেনা নম্বর থেকে আসা যেকোনো লিঙ্কে ক্লিক করতে কিংবা কোনো অচেনা নম্বর থেকে আসা কিউআর কোড স্ক্যান করতে বারণ করেন। তবে এমন একাংশ রয়েছেন যারা কিছু না বুঝেই এই কাজগুলি ভুলবশত করে ফেলেন, যার সূত্র ধরে তাদের ব্যাঙ্কে টাকা ক্রেডিট হওয়ার বদলে ডেবিট হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে জালিয়াতরা ফোন করে কিংবা মেসেজের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে এমনভাবে রাজি করান যাতে তারা তাদের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করতে কিংবা তাদের পাঠানো কিউআর কোড স্ক্যান করতে বাধ্য হন তারা। আর এরপরেই ব্যাঙ্কে তাদের বলা নির্ধারিত টাকা ক্রেডিট হওয়ার বদলে গোটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কষ্ট করে গচ্ছিত রাখা সঞ্চয় নিমেষে চলে যায় জালিয়াতদের হাতে। এরপরে সত্যিই আর কিছুই করার থাকেনা। ইদানিং এই ধরনের ঘটনা ঘটছে প্রচুর। তাই এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করেই বারবার সচেতন করা হচ্ছে সমস্ত নাগরিকদের। এক্ষেত্রে নিজেদেরও যে বেশ কিছুটা সচেতন থাকতে হবে, তা বলাই বাহুল্য।