৭ অক্টোবর পর্যন্ত এক্সচেঞ্জ করা যাবে ২০০০ টাকার নোট, ডেডলাইন এগিয়ে দিল আরবিআই – RBI GUIDELINES
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে আজ একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করার সময়সীমা আরো বৃদ্ধি করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এতদিন পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ করার সময়সীমা ছিল সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ। তবে এবার একটি নতুন নির্দেশিকার মাধ্যমে আরবিআই জানিয়েছে, আপনারা ৭ অক্টোবর পর্যন্ত যেকোন ব্রাঞ্চে গিয়ে এই টাকা এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন। ২০০০ টাকা ডিপোজিট অথবা এক্সচেঞ্জ করলে আপনি তার বিপরীতে টাকা পেয়ে যাবেন অথবা আপনার একাউন্টে টাকা যোগ করা হবে। তারপর সেই টাকা আপনি যেকোনো এটিএম থেকে তুলে নিতে পারেন। যেহেতু এখনো পর্যন্ত অনেকেই ২০০০ টাকার নোট জমা করেননি, তাই এই সময় সীমা অক্টোবর ৭ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো।
২৯ শে সেপ্টেম্বর একটি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে আরবিআই এই নতুন নির্দেশিকা জানিয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করার কারণে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। তবে শুধু অক্টোবর মাস পর্যন্ত নয়, এরপরেও কিন্তু ২০০০ টাকার নোট আপনি এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন তবে সেটা সব জায়গাতে হবে না। যেকোনো ব্যাংকে গিয়ে আর আপনি ২০০০ টাকার নোট দিতে পারবেন না ৭ অক্টোবর এর পরে। এক্ষেত্রে আপনাকে ভারতের ১৯ টি আরবিআই ইসু অফিসে যেতে হবে। সেখানে আপনি কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত ২০ হাজার টাকার নোট এক্সচেঞ্জ করতে পারেন। সেই নোট এক্সচেঞ্জ করলে সরাসরি আরবিআই আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দেবে।
এছাড়াও, যদি আপনার বাড়ির সামনে কোন আরবিআই ইসু অফিস না থাকে, তাহলে আপনি ভারতীয় ডাক বিভাগের সাহায্য নিয়েও টাকা এক্সচেঞ্জ করতে পারেন। ইন্ডিয়া পোস্টের মাধ্যমে আপনি আরবিআই ইস্যু অফিসে এই টাকা পাঠিয়ে নির্দিষ্ট একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করার জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে আপনার প্রত্যেকটি নোট হতে হবে একেবারে পরিষ্কার, এবং সেই নোটের উপরে কোন রকম দাগ থাকা চলবেনা। যদি নোটের উপরে দাগ থাকে তাহলে সেই নোট বাতিল বলে গৃহীত হবে আরবিআই ইসু সেন্টারের মাধ্যমে। এছাড়াও যদি আপনার কাছে কোন জাল নোট থাকে, তাহলেও সেই নোট সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে। আরবিআই-এর ক্লিন নোট পলিসি অনুযায়ী এই নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আরো একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ভারতীয় বাজারে ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকার ২০০০ টাকার নোট ছেড়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ৩.৪২ লক্ষ কোটি টাকার নোট ফেরত এসেছে। অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত ০.১৪ লক্ষ কোটি টাকার নোট সার্কুলেশনের মধ্যে রয়েছে। সেই নোট আপনাকে এক্সচেঞ্জ করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। তাহলে এই নোট বাতিল হয়ে যাবে।