জোট করে কোন রকমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে এনডিএ। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত পূর্বাভাস মিথ্যা প্রমাণ করে আসন বাড়িয়েছে কংগ্রেস। ফলে বিজেপি-কে চাপে ফেলার সুযোগ পেয়ে গর্জন শুরু করেছে শিবসেনা। তাদের দাবি, সরকার গড়তে হলে ৫০-৫০ শর্তে সমর্থন করতে রাজি তারা। নাহলে অন্য পথ ভেবে দেখবে শিবসেনা, এমনটাও শোনা যাচ্ছে মহারাষ্ট্র জুড়ে। আর শরিক নয়, সরাসরি নিয়ন্তা হয়ে উঠতে চাইছেন উদ্ভব ঠাকরের দল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যেই এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন বাল ঠাকরের পুত্র। প্রত্যাশা মতো বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে এবার তাঁর লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। আড়াই বছর করে দু দফায় ভাগ করে সরকার চালানোর শর্ত দিয়েছেন বিজেপিকে। আর কোন মৌখিক আশ্বাসে সমর্থন নয়, চায় লিখিত চুক্তি। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ অবশ্য শিবসেনার শর্ত মানতে রাজি নয়। ফড়নবিশ শিবিরের দাবি, মাত্র ৫৬ জন বিধায়ক নিয়ে আড়াই বছর সরকার চালাতে পারে না উদ্ভব ঠাকরে। এমন অবস্থায় বিজেপির কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ অনিবার্য হয়ে পড়ে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ডেকে পাঠান উদ্ভব ঠাকরেকে।