আর মাত্র দেড় সপ্তাহ এবং তারপরই শুরু হতে চলেছে দেবী পক্ষ। আর এই দেবীপক্ষে মাতৃ শক্তিকে শ্রদ্ধা রেখে জানাতে পূর্ব রেলওয়ে একটি নতুন অভিনব উপায়ে বের করেছে। একবারে মাতৃভূমি লেডিস স্পেশালে বিশেষ ব্যবস্থা শুরু করতে চলেছে পূর্ব রেলওয়ে। জানা যাচ্ছে মাতৃভূমি লেডিস স্পেশালে খুব শীঘ্রই একটি প্রথম শ্রেণীর কামরা রাখা হবে। দেবী পক্ষের সময় থেকে শিয়ালদহ রানাঘাট মাতৃভূমি লোকালে থাকতে পারে এই পরিষেবা এবং ১৪ ই অক্টোবর থেকেই এই পরিষেবা চালু হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। লোকাল ট্রেনের প্রথম শ্রেণীর কামরায় যাতায়াত হবে আরো ভালো এবং তার সাথেই আরামদায়ক। আসনের জায়গায় থাকবে নরম গদি এবং ট্রেনের কামরার মেঝেতে থাকবে ম্যাট। কামরার দেয়ালে সুন্দর ছবি লাগানো থাকবে। রেলের তরফে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, কামরার কোন একটি দেওয়ালে দিল্লির ইন্ডিয়া গেট এবং আগ্রার তাজমহলের ছবি রয়েছে আবার কোথাও রয়েছে মাথায় কলসি নিয়ে মহিলার ছবি। আবার কোন দেওয়ালে রয়েছে মহিলা বিমান চালকের ছবি।
পূর্ব রেলের মুখ্য সংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলছেন, শিয়ালদহ রানাঘাট রুটে চলা মাতৃভূমি লোকালে এবার একটি প্রথম শ্রেণীর কামরা রাখা হতে চলেছে। এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে শুরু করা হবে প্রাথমিকভাবে। যদি এই পরিষেবা সফল হয় তাহলে প্রথম শ্রেণীর কামরা সহ আরো বেশ কয়েকটি মাতৃভূমি লোকাল ট্রেন চালু করা হবে। তবে প্রথম শ্রেণীর পাশাপাশি দ্বিতীয় শ্রেণীর কামরা অবশ্যই থাকবে এই ট্রেনে। পূর্ব রেলের যাত্রীরা এই সিদ্ধান্তে বেশ খুশি। অনেকেই বলছেন এবারে অনেক বেশি আরামে অফিসে যেতে পারবেন তারা। এরপরে অফিসে গিয়ে কাজ করার সময় আর ক্লান্ত হয়ে পড়তে হবে না।
যদিও মুম্বাইয়ে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই লোকাল ট্রেনে প্রথম শ্রেণীর কামরা রয়েছে। তবে ভাড়া সাধারণ কামরার থেকে ১০ গুন বেশি হয় এই কামরার। সকালের ব্যস্ত সময়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর কামড়ায় যখন ব্যাপক ভিড় থাকে তখন প্রথম শ্রেণীর কামরা বেশ ফাঁকা থাকে। প্রথম শ্রেণীর কামরায় উঠলে আসন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে টিকিট বিক্রি কিন্তু খুব একটা কম হয় না। ২০২২ সালের জুন মাসের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর কামরায় প্রতিটিতে মোটামুটি ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়। আর এই প্রথম শ্রেণীর কামরার রং হয় সাদা এবং নীল। এই রং দেখেই যাত্রীরা কামরা চিনতে পারেন।