বাজাজ অটো সস্তা বৈদ্যুতিক স্কুটার নিয়ে কাজ করছে। কোম্পানি শীঘ্রই চেতক ইলেকট্রিকের একটি সস্তা সংস্করণ চালু করবে। এদিকে পরীক্ষার সময় কোম্পানির পুরনো জনপ্রিয় স্কুটার সানিকেও দেখা গেছে। এটিও একটি বৈদ্যুতিক মডেল হবে। পুনেতে এর টেস্টিং মডেল দেখা গেছে। যা পুরোপুরি ঢেকে রাখা হয়েছিল। এর পরেও স্কুটারটির ডিজাইন দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি সানি হতে পারে। এও বিশ্বাস করা হয় যে এটি সেগমেন্টের সবচেয়ে সস্তা বৈদ্যুতিক স্কুটার হতে চলেছে। সব মিলিয়ে বড় ধরনের চমক দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় দেখতে পাওয়া মডেলটির সম্ভাব্য ডিজাইনের কথা বলতে গেলে এতে রয়েছে গোলাকার হেডলাইট, ন্যূনতম বডি প্যানেল, আয়তক্ষেত্রাকার টেইল লাইট, থ্রি-স্পোক স্টিল হুইল, পাতলা ও লম্বা সিট, পাতলা অ্যাপ্রোন এবং লম্বা ফ্রন্ট ফেন্ডার যা পুরানো ফ্যাশনের বাজাজ সানির কথা মনে করিয়ে দেয়। এর ফুটওয়েলের উপর রাখা অতিরিক্ত চাকাটি এখন ব্যাটারি প্যাক দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পিছনের চাকাটি একটি হাব মোটর দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রথম বাজাজ উন্মুক্ত এবং অপসারণযোগ্য ব্যাটারি সহ একটি মডেল পরীক্ষা করছে। এর ব্যাটারি অপসারণ ও চার্জ করা যাবে। একই সঙ্গে চার্জিং স্টেশন থেকে ব্যাটারি সোয়াইপ করতে পারবেন। এটি সম্ভবত একটি প্রাক-উত্পাদন ইউনিট হতে পারে এবং উত্পাদন-স্পেক মডেলে ফ্লোরবোর্ড রিয়েল এস্টেট নেওয়ার সময় একটি হিডেন ব্যাটারি স্পেস দেওয়া হতে পারে। সাইড নিষ্কাশন শেষ হয়েছে এবং পিছনে এখন একটি হাব মোটর রয়েছে।
৯০-এর দশকের বাজাজ সানি যুগের পরিবর্তে প্রচলিত ওআরভিএম অন্তর্ভুক্ত। টার্ন ইন্ডিকেটরগুলি অনেক স্মুদ। সেখান এলইডি ব্যবহার করা হতে পারে। পিলিয়ন গ্র্যাব রেলটি পুনরায় ডিজাইন করা হয়েছে এবং এখনও একটি র্যাক রয়েছে। এই স্কুটারটি দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি ধীর গতির স্কুটার হবে। আশা করা হচ্ছে এর সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটারেরও কম।