নিয়মমাফিক রক্ষণাবেক্ষণের সময় হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের একটি কামরার নিচে একটি স্প্রিংয়ে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়েছিল। গভীর রাতে বিকল যন্ত্রাংশ বদলে অল্প সময়ের মধ্যে ট্রেন ছুটানোর কোন উপায় ছিল না এবং সেই কারণে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কিন্তু বন্দে ভারত চালানো যায়নি। অন্যদিকে পরদিন সকালেই রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মালদহ যেতে চলেছেন। তার সাথেই টিকিট কাটা রয়েছে আরও অনেক যাত্রীর। আকস্মিকভাবে যাত্রা বাতিল করলে সমস্যায় পড়বেন সকলেই। এই কারণে বাধ্য হয়ে বিকল্প হিসেবে যুবা এক্সপ্রেসের রেক পাঠানো হয়েছিল সেদিনকে।
সেই কারণেই ওই ট্রেনের মান পরিষেবা এবং সার্বিক স্বাচ্ছন্দ নিয়ে কেউই খুশি থাকতে পারেননি। প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রেল কর্তৃপক্ষকে। বাধ্য হয়ে সেদিন টিকিটের অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল রেলকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে রেলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজ্যে এই মুহূর্তে যে পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে তার মধ্যে হাওড়া থেকে ছুটছে চারটি ট্রেন। অথচ একটি ক্ষেত্রেও বিকল্প রেক নেই। কোনদিন কোন ট্রেনে যদি গুরুতর সমস্যা দেখা যায় তাহলে আকস্মিকভাবে যাত্রা বাতিল করা ছাড়া কোন পথ খোলা নেই। যেকোনো সময় এরকম ঘটনা ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে ১২০০ কিলোমিটার যাত্রা করে থাকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই সমস্ত ট্রেনের পক্ষে যান্ত্রিক ত্রুটি একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। ওই সমস্যার আশঙ্কা করেই রেলবোর্ড এর কাছে অতিরিক্ত একটি রেক চেয়ে পাঠিয়েছিলেন হাওড়া ডিভিশন রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার। এখনো পর্যন্ত সেই রেক না আসলেও, গত মাসে ১৬ কোচের পরিবর্ত রেকের অনুমোদন দিয়েছে রেল বোর্ড। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ওই রেক খুব তাড়াতাড়ি হাওড়াতে এসে পৌঁছাতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব রেল, উত্তর-সীমান্ত রেল এবং পূর্ব-উপকূল রেলের অধীনে চলা কোন একটি বন্দে ভারত বিকল হলে পরিবর্ত হিসেবে ওই রেক ব্যবহার করা যাবে।