নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে অনেক এবং তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত হিসেবে আছড়ে পড়েছে স্থলভূমিতে। কিন্তু ২০০৭ সালের “গোনু” এর পর এরকম সুপার সাইক্লোন প্রথমবার দেখলো আরব সাগর। তারও আগে ১৯৯৯ সালে এক সুপার সাইক্লোন দেখেছিল উড়িষ্যা, যেটি মাত্র ৩ মিনিটের তান্ডবে প্রচুর জীবন ও সম্পত্তিহানি ঘটিয়েছিল।
ইন্ডিয়ান মেটোরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের রিপোর্ট অনুযায়ী শনিবার থেকে অত্যন্ত দ্রুত এবং প্রায় প্রতিমুহূর্তে শক্তি বাড়িয়ে “কিয়ার” (Kyyar) এখন অতি ভয়ঙ্কর সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়েছে। এর ভয়ঙ্কর তীব্রতার জন্য বিজ্ঞানীদের অবস্থান নির্ণয়ে বারবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
পূর্বাভাস থেকে যেটা জানা যাচ্ছে আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি আরো শক্তি বাড়াবে এবং পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত এর তীব্রতা বজায় থাকবে। বর্তমানে এটি ১৮.২ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৬৫.৫ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, মুম্বাই থেকে প্রায় ৭০০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে, সালালাহ্ (ওমান) থেকে ১৩০০ কিমি পূর্বে এবং মসিরাহ্ (ওমান) থেকে ৮৩০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে ভারতের মধ্যপশ্চিম উপকূল বরাবর ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০-২৭০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। মৎস্যজীবীদের পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। এটি গত ছ’ঘন্টায় ১০কিমি প্রতি ঘন্টা হিসাবে অগ্রসর হয়েছে এবং আগামী পাঁচদিন পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম বরাবর সরে যাবে এবং ওমান উপকূলে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তখন এর গতিবেগ ১৫০-২০০ কিমি প্রতি ঘন্টা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।