দরিদ্র সীমার নিচে কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য রেশন কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। করোনার সময় থেকেই সরকার এই কার্ডের গ্রাহকদের বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা প্রদান করছে। তবে বর্তমানে এক বিপুল অংশের গ্রাহকদের রেশন কার্ড বাতিলের পরিকল্পনায় রয়েছে সরকার। পাশাপাশি নতুন নীতিও জারি করা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে। আর সেই নীতি যদি কেউ অমান্য করেন, তবে সেই নির্দিষ্ট গ্রাহকের রেশন কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ফ্রি রেশন স্কিম-
লকডাউনের সময় থেকেই এই স্কিমের হাত ধরে গরিব মানুষদের বিনামূল্যে রেশন কার্ডের সূত্র ধরে খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান করা হয়। সম্প্রতি জানানো হয়েছে এই স্কিমের মেয়াদ ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। রেশন কার্ডের সূত্র ধরে মানুষ চলতি বছরের শেষপর্যন্ত বিনামূল্যে সমস্ত জিনিস পাবেন।
রেশন কার্ড সংক্রান্ত নীতি-
সম্প্রতি সরকারের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। যেখানে বলা হয়েছে, ৩১-শে অক্টোবরের মধ্যেই রেশন কার্ডের গ্রাহকদের নিকটবর্তী রেশন দোকানে গিয়ে কেওয়াইসি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ও নথি জমা করতে হবে। আর কেউ যদি এই কথা অমান্য করেন তবে পয়লা নভেম্বর থেকেই সেই নির্দিষ্ট গ্রাহকের রেশন কার্ড বন্ধ করে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে আবারো আধার কার্ড নম্বর জমা দেওয়ার পরেই চালু করা হবে এই কার্ড।
সরকার প্রদত্ত সতর্কতা-
সরকারের তরফ থেকে গভীর পর্যালোচনা মারফত জানানো হয়েছে, যারা অন্যায্যভাবে এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য নিয়ে ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে সরকার। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি খাদ্য দফরের তরফ থেকে খতিয়ে পর্যবেক্ষণ করা শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এক্ষেত্রে যদি তাদের তরফ থেকে কোন গন্ডগোল নজরে আসে তবে তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। সবার প্রথমে বাতিল করে দেওয়া হবে তাদের রেশন কার্ড। সরকারের বক্তব্য, এমন অনেকেই রয়েছেন যারা অন্যায্যভাবে রেশন কার্ডের সুবিধা গ্রহণ করছেন, যা একেবারেই উচিৎ নয়।
যদি কোন রেশন কার্ড গ্রাহকের ১০০ বর্গ কিলোমিটারের একটি জমি, একটি ফ্ল্যাট কিংবা নিজস্ব বাড়ি থাকে, তবে তারা যে এই রেশন কার্ডের গ্রাহক হতে পারবেন না, সেকথা আর আলাদাভাবে বলার নয়। পাশাপাশি গ্রামীণ গ্রাহকদের যদি বার্ষিক আয় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা হয় কিংবা নিজস্ব গাড়ি, ট্রাক্টর ও অস্ত্রের লাইসেন্স থাকে তবে তিনি কখনোই রেশন কার্ডের গ্রাহক হতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ এই সমস্ত গ্রাহকদের তহশীল কিংবা ডিএসও অফিসে গিয়ে নিজেদের রেশন কার্ড জমা দিয়ে আসতে হবে। আর একথা অমান্য করা হলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে সরকার।