প্রতি মাসে হাতে আসবে ২৫০০০ টাকা, আপনাকে করতে হবে এই কাজ – INVESTMENT PLAN
বর্তমানের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকেই নিজের মতন করে নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী থাকেন। পাশাপাশি তারা নিজেদের পরিবারের সদস্যদের ভবিষ্যতে আর্থিক চিন্তামুক্তির কথাও মাথায় রাখেন। প্রত্যেকেই চান অবসরের পর নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে। আর সেইসময় একটা মাসিক আয়ের কথাও তাদের মাথায় থাকে। প্রত্যেকেই চান যাতে অবসরের পর মাসে মাসে তাদের হাতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আসে, যা দিয়ে তারা গোটা মাসটা অতিবাহিত করতে পারবেন সচ্ছলভাবে।
যদি ৫৭ বছর বয়সী কোন ব্যক্তি বেসরকারি ফার্মে কর্মরত থাকেন, তবে তার অবসরে বাকি থাকে তিন বছর। অবসরের পর তার হাতে আসবে ৫০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে প্রশ্ন এমন কোথায় বিনিয়োগ করলে তার হাতে মাসে মাসে ২৫ হাজার টাকা করে আসবে! আর এই প্রসঙ্গে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের মত, প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা পেতে হাতে অন্তত ৫৩ লাখ টাকা প্রয়োজন। পরবর্তী ২৩ বছরে বার্ষিক পাঁচ শতাংশ গড় মুদ্রাস্ফীতির হার হিসাব করেই উল্লেখ্য অর্থের পরিমাণ ধরা হয়।
মাসিক পঁচিশ হাজার টাকাতে যে সচ্ছলভাবে জীবন কেটে যাবে! একথা যদি মনে করা হয় তবে তা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ মানুষের চাহিদা সীমিত নয়, তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টিকে নিজেদের আয়ত্তের মধ্যে রাখাটা ভীষণভাবে জরুরী। আজকের যুগে দাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা একটি গোটা মাস চালানোর জন্য খুব বেশি পরিমাণ অর্থ নয়।
যদি কোন ব্যক্তি নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ড কিংবা ছোট ছোট বিনিয়োগের টাকা একত্রে এনে সেই নিয়ে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী অবসরের পরিকল্পনা করতে পারেন, তবে তা মন্দ হবে না। জীবন বীমা কোম্পানির পেনশন প্ল্যানে আটকে না থেকে মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ করা অনেক বেশি লাভজনক হবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে যথেষ্ট ঝুঁকি থাকে। এক্ষেত্রে মাসিক একটি টাকা তোলার স্বাধীনতাও পাওয়া যায়। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম, পোস্ট অফিস মান্থলি ইনকাম স্কিমে বিনিয়োগ করা যথেষ্ট লাভজনক।