বিশ্বকাপে কোন দলই ছোট দল নয়। বিরাট কোহলি এই সম্পর্কে একটা সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন আগে। ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে জোড়া অঘটন ঘটে গিয়েছে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে অনবদ্য ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। আজ ভারতের প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। এমনিতে দেখতে গেলে বাংলাদেশ অনেকটাই ছোট দল হলেও, প্রতিপক্ষকে হালকা নিতে নারাজ ভারতীয় শিবি। এশিয়া কাপের হারের বদলা নিতে মাঠে নামবে ভারত। অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে জয়ে ফিরতে মরিয়া টাইগাররা।
ক্যারিবিয়ান এর সেই বিশ্বকাপ ভারতের কাছে এখনো অত্যন্ত অস্বস্তির। ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত। কিন্তু তখনকার পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে আলাদা। প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও, ভারতীয় টিম অনেকটাই এগিয়ে বাংলাদেশের থেকে। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ইতিমধ্যেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচে এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিধ্বংস খেলেছিলেন বীরেন্দ্র সেবাগ এবং বিরাট কোহলি। এই ম্যাচেও বিরাট কোহলির ব্যাট চলবে বলেই ধারণা। প্রথম দুটি ম্যাচে অনবদ্য ব্যাটিংও করেছেন বিরাট। সম্ভাবনা আছে এই ম্যাচেও ভালো খেলবেন কিং কোহলি।
গত এক বছর এক দিবসীয় ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বেশ ভালো। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে এশিয়া কাপ রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগে এশিয়া কাপে সুপার ফোর এর ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ভারত। যদিও ভারতের তরফ থেকে সেই ম্যাচে বড় তারকাদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। সেটা কোন অজুহাত হতে পারে না। বড় মঞ্চের কথা বলে গত কয়েক বছরে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচ বেশ আকর্ষণীয় হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারত পাকিস্তান ম্যাচের থেকেও বাংলাদেশের ম্যাচ সমস্ত আকর্ষণ কে ছাপিয়ে যায়। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরকমই একটা ঘটনা ঘটেছিল। অন্যদিকে মহিলা দলের ক্ষেত্রেও ভারত বাংলাদেশের গত সৃষ্টি হয়েছিল রুদ্ধশ্বাস।
ভারতীয় দল এই মুহুর্তে রয়েছে একেবারে দুর্দান্ত ফর্মে। জয়ের হ্যাটট্রিক করে ভারত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামছে। গত ম্যাচে পাকিস্তানকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ার দারুণ ফর্মে রয়েছেন। অন্যদিকে বোলিং এর দিকে বুমরা সিরাজ এবং হার্দিক পান্ডিয়া আগুন ঝরাচ্ছেন। স্পিন বোলিং দারুন করছেন জাদেজা ও কুলদীপ। তারপরেও কেন সতর্ক থাকতে হচ্ছে? আসল কারণ হলো বাংলাদেশ টিমের বোলিং কোচ এলান ডোনাল্ড। অন্যদিকে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপে দুজন বাঁহাতি পেশার রয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম। প্রথমজন অতীতেও ভারতকে চাপে ফেলেছেন অনেকবার। বেশ কয়েক বছর আইপিএলেও ভালো পারফরমেন্স করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। অন্যদিকে শরিফুলকে ভুললে চলবে না। স্পিন বোলিং এর ক্ষেত্রে শাকিব আল হাসান যেকোনো পরিস্থিতিতে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। সেই কারণে পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে, এবারের ভারত পাকিস্তানের থেকে অনেকটাই বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে ভারত বাংলাদেশ ম্যাচ।