Upper Primary নিয়োগে বড় সুখবর, পুজোর মুখে দারুন খবর পেলেন ভাবী শিক্ষকরা
পুজোর মুখে আপার প্রাইমারি নিয়োগ নিয়ে বড় সুখবর দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন
পুজোর মুখে আবার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এবারে বড় সুখবর। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং এর নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের। ৩০০দিনেরও বেশি থেকে আবার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাই এবারে আদালতের নির্দেশে চাকরির প্রতিশ্রুতি পেয়ে তারা বেশ খুশি। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুল সার্ভিস কমিশন চাইলেই শিক্ষকদের নিয়োগ এবং কাউন্সেলিং করতে পারবে। কোন কোন শিক্ষক কোন স্কুলে চাকরি পাবেন সেটাও ঠিক করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে চাকরির সুপারিশ পত্র দেওয়ার নির্দেশ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ অক্টোবর। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। তবে, ২৮ শে অক্টোবর এর আগে নিয়োগ সংক্রান্ত আপডেট স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দিতে হবে
অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে বেশ খুশি রাজ্যের প্রতিটি শিক্ষক সংগঠন। বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলছেন, অনেকদিনকার লড়াই এবং সংগ্রামের পর আজ মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আপার প্রাইমারি শিক্ষকরা ন্যায় বিচার পেতে চলেছেন। অবশেষে আপার প্রাইমারি কাউন্সেলিং এর অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আমরা দাবি করছি যাতে স্কুল সার্ভিস কমিশন আজকের মধ্যেই কাউন্সেলিং এর তারিখ ঘোষণা করে দেয়। তবে যদি নাও হয়, তবুও যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই নোটিশ আসে সেটাই আমরা চাইবো।
২৮ অক্টোবর অর্থাৎ লক্ষ্মী পূজার পরে নতুন করে কাউন্সিলিং শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। লক্ষ্মী পূজার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে তারা। পুজোর ছুটির পরেই চাকরিপ্রার্থীরা নতুন চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এদের জীবন থেকে মহামূল্যবান নয় বছর চলে গেছে। তাই, আর সময় নষ্ট করতে চাইছেন না শিক্ষকরা। এবার তাদের একটাই লক্ষ্য, চাকরি করা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার পর অনেক চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। যারা দাবি তুলেছিলেন, আপার প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় দুর্নীতি হয়েছে। এমনকি নিয়োগের নিয়ম মানা হয়নি বলেও দাবি তুলেছিলেন তারা। নম্বরের হেরফের হয়েছে বলেও অভিযোগ ছিল তাদের। এর কারণে মেধা তালিকা জমা দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই মেধা তালিকা আসার পরেই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে যায়। যেখানেই এতদিন ধরে মামলা চলছিল। অবশেষে সেই মামলার নিষ্পত্তি হল সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ থেকেই।