আপনি কি জানেন ১০০ টাকার নোটে কোন পাহাড়ের ছবি দেওয়া আছে? অনেকেই এই উত্তর জানেন না
আসলে ছবিটি পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে কাছের পর্বত শৃঙ্গের
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক হলো ভারতের সবথেকে বড় ব্যাংক। এই ব্যাংক ভারতের সমস্ত নোট জারি করে। ধাতব মুদ্রা হোক বা কাগজের নোট, আরবিআই সবই জারি করে। যদি দেখা যায়, ভারতীয় মুদ্রা আজ থেকে নয়, আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে থেকে ভারতের অর্থনীতির একটা বড় স্তম্ভ হয়ে রয়েছে। বলতে গেলে ভারতে নোটের একটা বিশাল ইতিহাস রয়েছে। তবে, এই মুহূর্তে ভারতে যতটাই বেশি নোট চলুক না কেনো, কয়েন কিন্তু অনেক বেশিদিন ধরে আপনি দেখতে পাবেন। ভারতীয় মুদ্রায় আরো অনেক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা আপনারা অন্যান্য কোনো দেশের মুদ্রায় পাবেন না।
ভারতের সব নোটেই গান্ধীজির ছবি ছাপা হয়। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ১৯৬৯ সালে প্রথমবার মহাত্মা গান্ধীর ছবি নোটে ছাপা হয়েছিল। এর আগে অবধি এই নোটে শুধুমাত্র অশোক স্তম্ভের ছবি ছিল। গান্ধীজীর সেই ছবিটি জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে ছাপানো হয়েছিল নোটের উপরে। তবে, আপনি কি জানেন যে ১০০ টাকার নোটের পিছনে যে পাহাড়ের ছবিটি দেখা যায় সেটা কোন পাহাড়? কোন পাহাড়ের ছবি থাকে এই নোটের পিছনে।
আপনি যদি কোন নোট বিশেষজ্ঞ কে এর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন তাহলে তিনিও হয়তো বলতে পারবেন না যে এটা কোন পাহাড়। আসলে এই পাহাড়টি নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। আপনাকে জানিয়ে রাখি, বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের ছবি ১০০ টাকার নোটে দেওয়া আছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই পাহাড়ের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই পরিচিত। আসলে, এই পাহাড়টি হলো কাঞ্চনজঙ্ঘা। হিমালয় রেঞ্জের অন্যতম বড় একটি পর্বত শৃঙ্গ এটি। এই ছবিটি পেলিং, সিকিম থেকে তোলা, যা ভারতের সবচেয়ে সুন্দর এবং ছোট রাজ্য।
কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতকে স্থানীয় লিম্বু ভাষায় সেওয়ালুংমা বলা হয়। এই পর্বতটি ভারতের সিকিম রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমে নেপালের সীমান্তে অবস্থিত। আপনাকে জানিয়ে রাখি, কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত। এটি ৮,৫৮৬ মিটার উঁচু এবং হিমালয় পর্বতমালার একটি অংশ।