মুর্শিদাবাদ : বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই বাড়িতে ফিরে এলো বাংলার পাঁচ সন্তানের কাফিনবন্দী দেহ। নিজের কাছের মানুষদের হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লো সাগরদিঘীর বহালনগর গ্রাম।
সম্প্রতি কাশ্মীরের বাইরে থেকে আসা লোকদের নিশানা করছে জঙ্গিরা। তেমনই গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের কুলগ্রামে শ্রমিকদের ক্যাম্পের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা এবং এর ফলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বাংলার পাঁচজন শ্রমিকের।এই শ্রমিকদের মৃত্যুতে গোটা বাংলা নিস্তব্ধ হয়ে যায়। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় টুইটারে শোক প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার রাতে এই পাঁচ শ্রমিকের কাফিনবন্দী দেহ শ্রীনগর থেকে দিল্লী হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। ওই দিন গোটা বিমানবন্দর জুড়ে জারি হয় কড়া নিরাপত্তা এবং মৃতদেহগুলিকে ফুলে সাজানো পাঁচটি শববাহী গাড়ির মাধ্যমে শীঘ্রই বহালনগরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। মঙ্গলবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
গতকাল কাশ্মীরের ঘটনাটি নিয়ে আসল সত্যটি সামনে আনার জন্য একটি শক্ত তদন্তের দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এই ঘটনায় মৃত পাঁচ শ্রমিকের দেহ গুলোকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তারা হলেন শেখ কামরুদ্দিন, শেখ মহম্মদ রফিক, শেখ নিজামুদ্দিন, শেখ মুরলসুলিন, মহম্মদ রফিক শেখ এবং পাঁচজনই হলেন বহালনগরের বাসিন্দা।
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃতের পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এবং প্রতিটি পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে পাঁচলক্ষ টাকা দেওয়া হবে ঘোষণা করেন। নিহতদের পরিবারের হাতে সেই টাকা পৌঁছে দেবেন ফিরহাদ হাকিম। এছাড়া রাজ্য সরকার ৩০,০০০ হাজার টাকার অনুগ্রহ দানের ঘোষণা করেন।