পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য সরকারের নতুন পরিকল্পনা, আদৌ কবে দাম কমবে পেঁয়াজের?
এই মুহূর্তে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম মোটামুটি ১০০ টাকার কাছাকাছি চলে গিয়েছে
মাত্র কয়েক মাস আগের কথা, সেই সময় টমেটোর দাম এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে মানুষের রান্না ঘরের বাজেটকে প্রভাবিত করেছিল এই দাম। অনেকেই বাধ্য হয়ে টমেটো খাওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার পাশাপাশি মুদ্রা স্ফীতিও বেড়ে গিয়েছিল এক ধাক্কায় অনেকটা। আর এখন পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও এই একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের দাম মোটামুটি কইলো প্রতি ১০০ টাকার কাছাকাছি। তাই টমেটোর দাম কমানোর জন্য ভারত সরকার যেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল, এবারে পেঁয়াজের দামের ক্ষেত্রেও এই একই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে চলেছে ভারত সরকার। খুব শীঘ্রই ভারতের বাজারে পেঁয়াজের বাজার মূল্য কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
আলু এবং টমেটোর মতো পেঁয়াজও ভারতীয় হেশেলের একটা প্রয়োজনীয় জিনিস। পেঁয়াজ ছাড়া ভারতীয় রান্না করাটা কার্যত অসম্ভব। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যখন পেঁয়াজের দাম এতটা বেশি, তখন অনেকেই কম পেঁয়াজ কেনার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। রান্নাঘরের বাজেটে যাতে গোলমাল না হয় তার জন্য অনেকেই পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকছেন। দিল্লি এবং কলকাতার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম কিলো প্রতি ৯০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন খুব শীঘ্রই এই দাম ১০০ টাকার কাছাকাছি চলে যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের অন্যান্য বাজারে ইতিমধ্যেই ১০০ টাকার কাছাকাছি চলে গেছে পেঁয়াজের দাম। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এবারে নতুন করে কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে পেঁয়াজের দাম কমানোর জন্য।
টমেটোর দাম যখন বৃদ্ধি পেয়েছিল সেই সময় যে রাজ্যে টমেটো উৎপাদন বেশি হয় সেখান থেকে টমেটো এনে অন্যান্য রাজ্যে বিক্রি করেছিল সরকার। এর ফলে অনেকটাই সস্তা হয়েছিল টমেটোর দাম। এই একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে সরকার পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। মধ্য ভারতের কয়টি রাজ্য যেমন মধ্যপ্রদেশ রাজস্থান এবং হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে পেঁয়াজের চাষ ভালো হয়। দক্ষিণ ভারত কিংবা পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে কিন্তু পেঁয়াজের উৎপাদন খুব একটা ভালো নয়। উত্তর ভারতেও পেঁয়াজের চাষ ভালো হয় না। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাফার স্টক ছিল ৫ লক্ষ টন। এরমধ্যে ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ টন বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এবার মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থান থেকে পেঁয়াজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণে গত শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার আরো একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারী সংস্থা ডিজিএফটি পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য প্রতি টন ৮০০ ডলার ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের কারণে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ এই মুহূর্তে বাইরে বেশি নিয়ে যেতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা। যদি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে চলে তাহলে খুব শীঘ্রই পেঁয়াজের দাম দেশের বিভিন্ন বাজারে ৬৮ টাকা প্রতি কিলো পৌঁছবে। পেঁয়াজের এই নতুন রপ্তানি মূল্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছে সরকার।