বিশেষ মেশিন দিয়ে নাটু মুরগি উৎপাদন, এই ট্রেন্ড করা ব্যবসা থেকে প্রতি মাসে আয় ৪৫ হাজার টাকা
এই ব্যবসা চাইলে আপনিও শুরু করতে পারবেন
আপনারা সবাই জানেন, গৃহপালিত মুরগি ডিম ফুটলে তবেই বাচ্চা দিতে পারে। তবে এবার একটা নতুন উপায় নিয়ে এসেছেন এক নতুন ফার্ম মালিক। এই মিশনে ওই কৃষক দেখিয়ে দিয়েছেন, শুধুমাত্র ডিম ফুটলে না, একটি অন্য পদ্ধতির মাধ্যমে নাটু চিকেনের বাচ্চা তৈরি হয়ে যেতে পারে। এই মিশন থেকে প্রতিসপ্তাহে ৪০০ নাটু চিকেনের বাচ্চা তৈরি করা হচ্ছে। আর এক দিন থেকে শুরু করে এক সপ্তাহের বাচ্চা বিক্রি করে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। নিজামাবাদ জেলার বাসিন্দা রাজেন্দ্র এই দারুন কাজটি করে দেখিয়েছেন খুব সহজেই।
মুরগির উৎপাদন বাড়িয়ে মুনাফা করছেন রাজেন্দ্র। তারা এক জায়গায় মুরগির কপ পালন করছেন। এই কারণে নাটু কোটিপেটা ডিম পাড়ছে। এক সপ্তাহে চারশো ডিম পাড়ছে এই মুরগি। মুরগির বাচ্চা হলে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করে মিশনে আবার নিয়ে আসেন তিনি। এর মাধ্যমে সপ্তাহে ৪০০টি ডিম ভালোভাবে পরিষ্কার করে মিশনে রাখা হয়। প্রতিটি ডিম পৃথকভাবে স্ক্যান করা হয়। ওই স্ক্যানিংয়ে বাচ্চা আছে কি না তা জানা যায় এবং বাচ্চাহীন ডিম আবার বাজারে বিক্রি করা হয়।
এই ব্যবসায় লাভের পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। সেই কারণে এখন এই নাটু মুরগি পালন বেশ লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠেছে। প্রতি সপ্তাহে চারশ বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে একটি খামারে। একটি দিন বয়সী ছানা বিক্রি হয় ৩০ টাকায় এবং এক সপ্তাহের ছানা ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। একটি সাধারণ ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে রাজেন্দ্র এখন ব্যাপন মুনাফা করছেন। ওই ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে নাটু মুরগির চাহিদা দেখে নাটু মুরগি পালনের ধারণা এসেছিল। এখন প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা রোজগার করছেন তিনি।