বর্তমানের মূল্যবৃদ্ধির বাজারে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করতে দম ছুটে যাচ্ছে। আর এক্ষেত্রে নিজেদের যাতায়াত ভাড়া বাঁচাতে দু’চাকা কেনার ঝোঁক বেড়েছে অনেকটাই। লকডাউনের সময় থেকেই এই প্রবণতা বেড়েছে দ্বিগুণ। আর এখন চার চাকার বড় বড় সংস্থাগুলোও ভাবছে দু’চাকার গ্রাহকদের জন্য। এবার তাদের জন্যই সুখবর! দিওয়ালির আগেই বাজারে বাজাজ এনেছে নতুন ই-স্কুটার, যা ২০ হাজারেই সাধারণরা নিয়ে আসতে পারবেন ঘরে।
পেট্রোল ডিজেলে চলা স্কুটারগুলির তুলনায় ইলেকট্রিক স্কুটারের দাম বেশি। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাশ্রয়ী ইলেকট্রিক স্কুটারও বানাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। খুব সম্প্রতি বাজাজ তেমনি এক ইলেকট্রিক স্কুটার বানিয়েছে, নাম ‘বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটার’।
বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারের বৈশিষ্ট্য-
১) এই ইলেকট্রিক স্কুটারে ৩৮০০ ওয়াটের বিএলডিসি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে।
২) ২.৯ কেডাবলুএইচ লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির বৈশিষ্ট্য বর্তমান এই ই-স্কুটারে।
৩) এই ই-স্কুটারে একবার চার্জ দিলেই ১০৮ কিলোমিটার যাওয়া যাবে। প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৬৩ কিলোমিটার গতি দেবে এই স্কুটার।
৪) এটি প্রিমিয়াম বিল্ড কোয়ালিটির একটি ই-স্কুটার। স্কুটারটি পুরোপুরি ধাতব হওয়ায় এটি প্রিমিয়াম লুক দেয়।
৫) এই ই-স্কুটার সাতটি রঙে পেয়ে যাবেন গ্রাহকরা।
৬) ডিজিটাল স্ক্রিনের সুবিধা।
৭) মোবাইল কানেক্টিভিটির বৈশিষ্ট্য অর্থাৎ মোবাইল চার্জিং ও ইউএসবি পোর্টের বৈশিষ্ট্য।
৮) এলইডি লাইটের বৈশিষ্ট্য।
৯) ডিআরএল সার্কেল লাইটের বৈশিষ্ট্য।
১০) ফাস্ট চার্জিংয়ের বৈশিষ্ট্য।
১১) ক্রুজ কন্ট্রোলের সুবিধা।
১২) তিনটি রিডিং মোড ও রিভার্স মোডের সুবিধা।
১৩) টিউবলেস টায়ারের উন্নত বৈশিষ্ট্য।
এছাড়াও বাজাজ চেতক ইলেকট্রিক স্কুটারে রয়েছে একাধিক উন্নত মানের প্রগতিশীল বৈশিষ্ট্য।
এই মুহূর্তে এই ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজার মূল্য ১,২৮,৫০০ টাকা। মাত্র কুড়ি হাজার ডাউন পেমেন্ট করেই এই ইলেকট্রিক স্কুটার যেকোনো সাধারণ গ্রাহকরা নিজেদের বাড়িতে নিয়ে আসতে পারেন। এই ইলেকট্রিক স্কুটার কেনার ক্ষেত্রে রয়েছে ইএমআইয়ের সুবিধাও। ডাউন পেমেন্ট করার চার বছরের মধ্যে মাসিক কিস্তি হিসাবে ৩২৪৩ টাকা করে দিয়েই বাকি টাকা মেটাতে হবে গ্রাহকদের। তবে দীপাবলীর আগেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারে থাকবে আকর্ষণীয় অফার। কম দামে কেনার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে তার জন্য নিকটস্থ শোরুমে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে।