CIBIL স্কোর সংক্রান্ত বড় আপডেট দিল RBI, জেনে নিন দেরি না করে
রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে নতুন কিছু নির্দেশিকা জানানো হয়েছে ঋণ সংক্রান্ত
যারা এই মুহূর্তে লোন নিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য রয়েছে একটা বড় আপডেট। Cibil স্কোর সংক্রান্ত একটি বড় ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এর আওতায় বেশ কিছু নতুন নিয়ম কানুন জারি করা হয়েছে। এর আগে ক্রেডিট স্কোর অনেক সময় অনেক অভিযোগ তুলেছেন অনেক গ্রাহক এবং তারপরে এই নিয়ম কড়া করতে শুরু করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এছাড়াও অনেক নতুন নিয়ম জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। আগামী ২৬ এপ্রিল ২০২৪ থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা জারি করা নতুন পাঁচটি নিয়ম।
১. গ্রাহককে CIBIL চেক সম্পর্কে তথ্য পাঠাতে হবে
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমস্ত ক্রেডিট তথ্য সংস্থা গুলিকে জানিয়েছে, জখনই কোন ব্যাংক বা এনবিএফসি কোন গ্রাহকের ক্রেডিট রিপোর্ট পরীক্ষা করবে তখন সেই গ্রাহকের কাছে তথ্য পাঠাতে হবে। এসএমএস বা ইমেইলের মাধ্যমে এই তথ্য গ্রাহক কে জানাতে হবে। তাদের ক্রেডিট স্কোর কত সেটাও কিন্তু গ্রাহককে জানাতে হবে। এ ব্যাপারে কোনরকম লুকোচাপা করা যাবে না।
২. অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের কারণ জানাতে হবে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নতুন নিয়মে জানিয়েছে, যদি কোন ব্যাংক কোন গ্রাহককে লোন দিতে অস্বীকার করে, তাহলে গ্রাহকের অনুরোধ প্রত্যাখ্যানের সঠিক কারণ সেই ব্যাংককে জানাতে হবে। গ্রাহক যাতে সহজ ভাবে বুঝতে পারেন তার আবেদন কেন গ্রহণ করা হয়নি, সেটাও তাকে জানিয়ে দিতে হবে। অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার কারণগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে এবং সেই গ্রাহককে পাঠাতে হবে ইমেইল অথবা মেসেজের মাধ্যমে।
৩. বছরে একবার গ্রাহকদের বিনামূল্যে ক্রেডিট রিপোর্ট দিতে হবে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বলছে, ক্রেডিট সংস্থাগুলিকে বছরে একবার তাদের গ্রাহকদের বিনামূল্যে সম্পূর্ণ ক্রেডিট স্কোর সম্পর্কিত রিপোর্ট দিতে হবে। এর জন্য ক্রেডিট কোম্পানিকে তার ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক প্রদর্শন করতে হবে যাতে গ্রাহকরা সহজেই সেখান থেকে তাদের ক্রেডিট রিপোর্ট ডাউনলোড করতে পারেন। ক্রেডিট রিপোর্টে গ্রাহকরা তাদের সিবিল স্কোর দেখে নিতে পারবেন।
৪. ডিফল্ট রিপোর্ট করার আগে গ্রাহককে জানাতে হবে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বলছে, যদি কোন গ্রাহক ডিফল্টার হয়ে যান কোন কারনে তবে এই ডিফল্ট রিপোর্ট রিপোর্ট করার আগে গ্রাহককে বিষয়টা জানাতে হবে। ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমএস অথবা ইমেইল পাঠিয়ে সমস্ত তথ্য শেয়ার করতে পারেন গ্রাহকের কাছে। যদি তাতে কাজ না হয় তাহলে নোডাল অফিসার নিয়োগ করে এই ডিফল্ট রিপোর্ট গ্রাহককে আগে জানিয়ে দিতে হবে।
৫. ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ সমাধান করতে হবে
ক্রেডিট ইনফরমেশন কোম্পানি যদি ৩০ দিনের মধ্যে গ্রাহকের কোন অভিযোগের সমাধান না করেন তাহলে তাকে প্রতিদিন ১০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। বলতে গেলে যত দেরিতে অভিযোগ নিষ্পত্তি হবে তত বেশি জরিমানা দিতে হবে। এই ৩০ দিনের মধ্যে ২১ দিন পাবেন ওই ঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান এবং ক্রেডিট বিউরো পাবে ৯ দিন। যদি ব্যাংক ২১ দিনের মধ্যে ক্রেডিট ব্যুরোকে রিপোর্ট না জানায় তাহলে এরপরে ব্যাংককে জরিমানা গুনতে হবে।