বর্তমান যুবসমাজ মদ, বিড়ি,সিগারেট, গুটকা, বিভিন্ন পানমশলা এর নেশায় ডুবে গেছে। গুটকা, বিভিন্ন পানমশলাতে বিভিন্ন তামাক জাতীয় পদার্থ থাকে, যা মানবশরীরে মারণ রোগ ক্যান্সার পর্যন্ত ঘটাতে পারে। বহু মানুষ গুটকার কারণে ওরাল ক্যান্সার এর শিকার হয়েছেন।
গুটকা ব্যাবহারে নিষেধাজ্ঞা অনেকদিন আগে থেকেই ছিল। কিন্তু তার পরেও আইনকে বোকা বানিয়ে বাজারে চলছিল গুটকা। গুটকার প্যাকেটে সতর্কীকরণ লেখা থাকলেও কোনোঅংশে কমেনি গুটকার ব্যাবহার। উল্টে বেড়েই চলেছে।
রাজ্যের যুবসমাজের কথা মাথায় রেখে বিরাট উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। গুটকা এবং পানমশলাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। তপনকান্তি রুদ্র হলেন রাজ্যের ফুড সেফটি কমিশনার। তিনি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন যে, ‘গুটকা এবং পান মশলায় তামাক এবং নিকোটিনের ব্যাপক ব্যবহার হয় । ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট ২০০৬ এর ২৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যে খাবারে তামাক এবং নিকোটিন থাকে তা প্রোহ্যাবিটেড’।
শুধু তামাক ও নিকোটিন জাতীয় পদার্থ বিক্রি নয়,এগুলি তৈরি, মজুত করে রাখা, বিলি করা সমস্ত কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিছুদিন আগে ত্রিপুরা ও মেঘালয় গুটকা ও পানমশলাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এছাড়া প্রায় দুসপ্তাহ আগে উত্তরাখণ্ড সরকার পানমশলা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবার সেই একই পথে হাঁটলো বাংলার সরকার। আগামী ৭ নভেম্ভর থেকে পশ্চিমবঙ্গে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গুটকা এবং পানমশলা, এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।