আরব সাগরের তীরে সরকার গঠনের জটিলতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। দুই জোট শরিক বিজেপি ও শিবসেনার দর কষাকষির মাশুল দিতে হতে পারে মহারাষ্ট্রের সাধারণ মানুষকে, এমন আশঙ্কাও ভেসে বেড়াচ্ছে বাণিজ্য নগরীতে। হাতে মাত্র তিন দিন সময় রয়েছে, সমঝোতা সূত্র বের নাহলে তারপরই জারি হতে পারে রাষ্ট্রপতি শাসন। এদিকে, শিবসেনার দেওয়া ৫০-৫০ ফর্মুলার শর্তে সরকার গড়তে রাজি মহারাষ্ট্র বিজেপি। নাছোড়বান্দা শিবসেনাও মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়া সরকারে যোগ দিতে রাজি নয়। এমন অবস্থায় অবিজেপি সরকার গড়তে এনসিপি ও কংগ্রেসের সাথে যোগাযোগ করেন শিবসেনা নেতৃত্ব।
এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সাথে দেখা করেন শিবসেনার রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয়। সূত্রের খবর, পাওয়ার নিজে আগ্রহী ছিলেন সরকারে যোগ দিতে। এমনকি কংগ্রেসের একটা বড় অংশও চেয়েছিল বিজেপিকে ঠেকাতে শিবসেনাকে সমর্থন করতে। কিন্তু শরদ পাওয়ার ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বৈঠকের সেই জল্পনার ইতি ঘটে। সোনিয়া গান্ধী জানিয়ে দেন, ‘বিজেপি-শিবসেনার ঝামেলা ওদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। মহারাষ্ট্র বিধানসভায় দায়িত্বশীল বিরোধীর ভূমিকা পালন করবে কংগ্রেস।’ আসলে বিজেপির জোট শরিকদের সাথে নিয়ে সরকার গড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। বিহারের নীতীশ কুমারের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কিছুটা সাবধানে এগোতে চাইছে তারা।