গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহকদের অবিলম্বে করতে হবে এই কাজটি, না হলে হবে বড় ক্ষতি
গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহকদের জন্য একটা নতুন নিয়ম নিয়ে এলো ভারত সরকার
এখন যেমন আপনাকে ব্যাংক এবং হাইকোর্ট রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে আপনাকে আধার প্রমাণিকরণ করতে হতো, এবার থেকে সেরকমই একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে গ্যাস সিলিন্ডার গ্রাহকদের জন্য। বিগত এক ডিসেম্বর থেকে এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে এবং আগামী এক মাস পর্যন্ত এই প্রক্রিয়াটি চলবে বলে জানা গিয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। যদি আধার প্রমাণিকরণ না হয় তাহলে ভবিষ্যতে গ্যাস সংযোগ বেআইনি ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। গ্যাস গ্রাহকদের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে গিয়ে তার গ্যাস সংযোগের সঙ্গে আধার অনুমোদন করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য এজেন্সি গুলোর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে একটা বার্তাও পাঠানো হতে চলেছে। গ্যাস ডেলিভারি ম্যান, সরবরাহ করার সময় এই প্রমাণিকরণ নথি চেয়ে থাকবে ওই গ্রাহকের কাছ থেকে। ফেস স্ক্যানিং এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানিং করা হবে এই প্রমাণিকরণের পদ্ধতি হিসেবে।
২০২২ সালের পরে দেওয়া বেশিরভাগ গ্যাস সংযোগগুলি আধার অনুমোদিতই রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এর আগে এমন অনেক গ্যাস সংযোগ রয়েছে যেগুলিতে কিন্তু আধার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বেশ কিছু সংযোগ এইভাবে নেওয়া হয়েছিল আগে। গ্রামে প্রচুর সংখ্যক গ্রাহক এমন আছেন যারা এক বছর ধরে গ্যাস সিলিন্ডার বুক করেন না। এমন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক রয়েছেন যারা মারা গেছেন কিন্তু তাদের পরিবারের গ্যাস সংযোগটা এখনো তার নামেই রয়েছে। আবার অনেক গ্রাহক কেমন আছেন যাদের নামে গ্যাস সংযোগ থেকে গেলেও তারা এখন অন্য দেশে বসবাস করছেন। এই সমস্ত সংযোগগুলিকে বাতিল করার জন্যই এই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।
বলতে গেলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন জেলায় এখনো পর্যন্ত ৯০% ভোক্তার অনুমোদন নেই। জেলায় এই মুহূর্তে গ্যাস গ্রাহকের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার। কিন্তু ৩ লক্ষ ১৫ হাজার গ্রাহকের সার্টিফিকেশন করা হয়নি এখনো পর্যন্ত। সেই কারণেই এই নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে ভারত সরকার। পুরনো গ্রাহকদের আবারো আধার প্রমাণিকরণ সম্পূর্ণ করতে হবে তাদের গ্যাসের জন্য। এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে বিগত ১ ডিসেম্বর থেকে এবং এক মাস যাবত এই প্রক্রিয়াটি চলবে বলে জানা গিয়েছে। তবে প্রক্রিয়াটি পুরোপুরিভাবে শেষ না হলে সময়টা আরো বৃদ্ধি হতে পারে। ভারত সরকার মনে করছে, যদি আধার অনুমোদন সম্পন্ন হয় তাহলে ভারতে এলপিজি সিলিন্ডার গ্রহণের পরিস্থিতি আরো পাল্টাবে এবং অনেক মানুষ এলপিজি গ্যাস বুক করতে আগ্রহী হবেন।