৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ লাখ টাকা রিটার্ন, জানুন সরকারের এই বাম্পার রিটার্ন প্রকল্পের ব্যাপারে
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং এসআইপি আজকালকার দিনে বিনিয়োগের একটা ভালো জায়গা হয়ে উঠেছে
সবাই জীবনে একটা না একটা সময়ে নিজের উপার্জন করা টাকা বিনিয়োগ করার কথা ভাবেন। আর কেনো ভাববেন না, যদি কোনো স্কিমে টাকা বিনিয়োগের ফলে অনেক বেশি লাভ হয়, তাহলে কেউ কেনো ভাববে না টাকা বিনিয়োগের ব্যাপারে। কিন্তু, বিষয়টা হলো কোথায় বিনিয়োগ করবেন? সাধারণত ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য দুই ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যম রয়েছে। একটি হল যে কোন সরকারি স্কিম এবং দ্বিতীয় টি হল শেয়ার মার্কেট অথবা মিউচুয়াল ফান্ড। যারা ঝুঁকি নিতে চান না তারা সাধারণত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে টাকা রাখেন। কিন্তু যারা এই টাকা নিয়ে ঝুঁকি নিতে পারেন তারা কিন্তু কখনোই সরকারি প্রকল্পে টাকা রাখতে চান না। আজকে আমরা এরকমই দুটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করব যেখানে আপনি সহজেই টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। এই দুটি বিকল্প হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং এসআইপি। চলুন তাহলে এই দুটি বিকল্পের মধ্যে তুলনা টা দেখে নেওয়া যাক।
পিপিএফ কি
পিপিএফ অর্থাৎ পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড হল এক ধরনের সরকারি স্কিম যেখানে বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিত রিটার্ন পান। অতএব, কেউ কোনো টেনশন ছাড়াই পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পারেন। PPF অ্যাকাউন্ট ১৫ বছরে পরিপক্ক হয়। বর্তমানে, পিপিএফ বিনিয়োগকারীরা প্রতি বছর ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পাচ্ছেন। আপনি একটি আর্থিক বছরে PPF-এ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, আপনি যদি অ্যাকাউন্টের মেয়াদপূর্তির আগে অর্থ উত্তোলন করেন তবে ১ শতাংশ কেটে নেওয়ার পরে টাকা ফেরত দেওয়া হয়। এতে আপনি প্রতি বছর ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কর সুবিধাও পাবেন।
SIP কি?
আপনি SIP এর মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। বাজারের ওঠানামার প্রভাব এসআইপি-তে রয়েছে। তবে সব থেকে বড় সুবিধাটা হলো, SIP তে বিনিয়োগ করলে যে কোন সাধারণ মানুষ একসাথে ১২ শতাংশ রিটার্ন পায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, SIP একটি বড় তহবিল তৈরির জন্য বেশ উপযুক্ত।
প্রতি মাসে পান বাম্পার রিটার্ন
আপনাদের জানিয়ে রাখি আপনি যদি পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রতি মাসে ৫,০০০ টাকা করে বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনি বার্ষিক ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করবেন। আপনি যদি ১৫ বছর ধরে এই বিনিয়োগ একটানা করে যান তাহলে আপনি ১৫ বছরে ৯ লক্ষ টাকা জমা করতে পারবেন। ১৫ বছরে আপনি সুদ পাবেন ৭.১ শতাংশ হারে। অর্থাৎ আপনার সুদের পরিমাণ হবে ৭ লক্ষ ২৭ হাজার ২৮৪ টাকা। এই অনুসারে আপনি ম্যাচিউরিটির সময় পেয়ে যাবেন ১৬ লক্ষ ২৭ হাজার ২৮৪ টাকা।
অন্যদিকে যদি আপনি পনেরো বছরের জন্য SIP প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন মাসিক ৫০০০ টাকা করে তাহলে আপনি মোট ৯ লক্ষ টাকা জমা করবেন ১৫ বছরের জন্য। আপনি এই প্রকল্পে ১২ শতাংশ রিটার্ন পেতে পারেন। অর্থাৎ এই হিসাব অনুযায়ী আপনি ১৫ বছরে ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৮০ টাকা সুদ পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে আপনি মেয়াদ পূর্তিতে একসাথে ২৫ লাখ ২২ হাজার ৮৮০ টাকা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে মাত্র ৫০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ লাখ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে।