LPG সিলিন্ডারের জন্য দুর্ঘটনা ঘটলে কত টাকা ক্ষতি পূরণ পাওয়া যায়? বেশিরভাগ মানুষই জানেন না
এলপিজি গ্যাস কানেকশনের জন্য যদি কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে, তবে গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
আজকের দিনে ভারতের প্রত্যেকটি পরিবারে এলপিজি গ্যাস কালেকশন লক্ষ্য করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে গ্রামের অন্তিম বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে গ্যাস কানেকশন লাইন। শুধুমাত্র গার্হস্থ্য সংযোগ নয়, বরং বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে ছোট ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সর্বত্রই ব্যবহার করা হয় এলপিজি গ্যাস কালেকশন। তবে ভারতের কয়েক কোটি মানুষ এলপিজি গ্যাস কানেকশন ব্যবহার করলেও এর একাধিক নিয়ম সম্পর্কে অবহিত নন।
যেমন, এলপিজি গ্যাসের কারণে যদি কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটে তবে কি ওই গ্যাস কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনরকম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়? আজকের নিবন্ধে আপনাদের বলে রাখি, এলপিজি গ্যাস কানেকশন গ্রহণ করার সাথে সাথে ব্যক্তির নামে একটি বিশেষ বীমা প্রকল্প চালু হয়ে যায়। যার বদৌলতে গ্রাহকদের বাড়িতে কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা ঘটলে বড় অংকের টাকা ক্ষতিপূরণ পান গ্রাহকরা।
আপনারা জানলে অবাক হবেন যে, ভারতে প্রতিবছর কয়েকশো থেকে শুরু করে কয়েক হাজার পর্যন্ত দুর্ঘটনা ঘটে শুধুমাত্র এলপিজি গ্যাস কানেকশনের জন্য। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি কয়েকদিন আগে সংসদে বলেছিলেন যে দেশে গত ৫ বছরে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে ৪০৮২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে ৮১৬টি দুর্ঘটনা ঘটে।
আমরা আপনাদের বলি, এলপিজি গ্যাস কানেকশনের জন্য যদি কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে, তবে গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন। আর গ্যাসের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে ইন্সুরেন্সের টাকা দিয়ে থাকে ওএমসি কোম্পানি। এলপিজির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে সে ক্ষেত্রে ৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি, চিকিৎসার জন্য ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে ওএমসি।